শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

image


পরকীয়ার প্রথম কারন হলো আপনি হয়তো আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীকে সময় দিতে পারছেন না। একে অপরকে পর্যাপ্ত সময় না…

দেওয়ার কারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটা মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হয়। স্বামী অথবা স্ত্রী এমন কাউকে খুজতে থাকে যার সাথে তার একাকীত্ব ঘুচে যায়। এমন কাউকে খুজতে থাকা থেকেই পরকীয়ার সূত্রপাত।

ছেলে ও মেয়েরা কিন্তু একই কারণে পরকীয়ায় জড়ায় না। মেয়েরা মূলত পুরুষের বুদ্ধিবৃত্তিক, আবেগীয় ও অর্থ সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এবং শারীরিক চাহিদা থেকে পরকীয়ায় জড়ায়। অন্যদিকে পুরুষরা সাধারণত বহুগামী মানসিকতা থেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে থাকে। আপনার বন্ধুবান্ধব পুরুষরা কেউ যদি পরকীয়া করে থাকে দেখবেন তাদের পরকীয়ার গল্পে যৌন কর্মকাণ্ডের কথাই বেশি থাকে। অন্যদিকে নারীরা তাদের প্রেমিকের বুদ্ধিবৃত্তিক ও আবেগীয় কর্মকাণ্ড বলতে বেশি পছন্দ করে।

প্রত্যেক স্বামী এবং স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক কিছু চাহিদা আছে। যখন এসব চাহিদা পূরণ হয় না, স্বপ্নভঙ্গের ব্যথায় কষ্ট পায় মন-মূলত তখনই পরকীয়ার সূত্রপাত ঘটে।

একে অপরের প্রতি উদাসীনতা ধীরে ধীরে একজন স্বামী থেকে একজন স্ত্রীকে আলাদা করে ফেলে, বা একজন স্ত্রী থেকে স্বামীকে আলাদা করে ফেলে। বেড়ে যায় মানসিক ব্যবধান। যার কারণে শুরু হয় মনোমালিন্য। এবং অবশেষে পরকীয়া।

 

স্বামী অথবা স্ত্রী যদি চাকুরীজীবি হয়ে থাকে তাহলে তারা তাদের অফিসের বিপরীত লিঙ্গের কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে অধিকাংশ নারী বিবাহের পর বাকি জীবনটা গৃহবধূ হিসাবে পার করে দেয়। এসব গৃহবধূদের অনেকেই বিবাহ পরবর্তী একাকীত্ব ঘুচাতে তাদের কোন আত্নীয় সম্পর্কের অথবা প্রতিবেশী কারও সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় ।

অফিস সহকর্মী কিংবা বন্ধুবান্ধবদের পরকীয়ার গল্প শুনতে শুনতেই অনেকে নিজের জীবনেও সেই উত্তেজনা খুঁজতে গিয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। আমেরিকার নিউ ওমেন ম্যাগাজিনের জরিপে জানা যায় চাকরিজীবী বিবাহিত নারীরা তাদের কর্মস্থলেই ‘লাভার’-দের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করে থাকেন। আমেরিকান সমাজে অবিশ্বস্ততার হার দিনে দিনে বাড়ছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে জানা যায় যে, ২৫ শতাংশ পুরুষ পরকীয়া করছে এবং ১৭ শতাংশ নারী তাদের স্বামীদের প্রতি বিশ্বস্ত নয়।

ভালবাসা বা প্রেম শুধুই ভালবাসা আর প্রেমই. এর অন্য কোনো নাম নেই. আমাদের সমাজের কিছু নোংরা মনের মানুষ বিয়ের পরের প্রেম বা ভালোবাসাকে পরকিয়া নাম দিয়েছে ওদের মনের হীনমন্যতার কারণে. তাই প্রথমেই এর প্রতিবাদ করে নিচ্ছে একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে. আমাদের সমাজে আমরা সকল ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আমাদের অবস্থানের বা অবস্থার পরিবর্তন করতে পারি শুধু পারিনা জীবনে যদি একবার বিয়ের পর বুঝতে পারি আমাদের জীবন সাথিটা আমার মনের মত হয়নি. আমাদের জীবন একটাই আর জীবন আমাদের আরেকবার দিবে না স্রষ্টা ভোগ করার জন্য এই পৃথিবীটা.তাহলে কেন আমাদের মনের বিরদ্ধে সারা জীবন থাকতে হবে ওই মানুষটার সাথে যার সাথে আমার মনের কোনো মিল নেই. যদি ভাঙ্গতে চায় তাহলেই কূলটা বা চরিত্রহীন উপাধি পেতে হবে সমাজের কাছ থেকে. আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নষ্ট করে দিবে সমাজের সেই মানুষ গুলো যাদের নিজের মনটাই অনেক নোংরা. তাই আমাদের মনের আর আত্মার ভালোবাসার জায়গাটাকে পূর্ণ শান্তি দিতে লুকোচুরির আশ্রয় নিতে হয় ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে ভালবাসা পেতে. আমি আজ দ্বিধাহীন চিত্তে মাথা উচু করে বলছি আমি আপনাদের সমাজের ভাষায় পরকিয়া প্রেমে আবদ্ধ হতে হলে হব আবদ্ধ আরও বলছি আমি প্রতি মুহুর্থে এই সমাজকে ঘৃনা করছি. আপনারা যারা ওদের আজ ঘৃনা করবেন তাদের কাছে প্রশ্ন থাকবে আপনার মনকে প্রশ্ন করে দেখুন মন কি বলে যদি আমাদের জায়গাতে আপনি আসেন তখন আপনি কি করবেন? আমি বলব এই ভালবাসায় অনেকটা সত্য ভালবাসা যা মানুষকে অনেক মানবিক আর সুন্দর করে গড়ে তুলে. আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থাকে কোনো ধর্মই স্বীকৃতি দেয় নাই. যেদিন এই সমাজ এই সত্তিতাকে শিকার করবে যে সমাজের এই ব্যবস্থাটি সত্তি অমানবিক সেদিন আমরা অনেক সত আর পাপমুক্ত হয়ে জীবন যাপন করতে পারব. আসন এই প্রেমের মানুষ গুলোকে অন্যায় করি বলে অন্যায় না করে সমাজের নিয়মটাকে ঘৃনা করি আর পরিবর্তনের চেস্টা করি. তারপর দেখবেন আপনারাও অনেক সুন্দর একটা জীবন যাপন করতে পারবেন . আমি জানি না আমার লিখতে আপনাদের বুঝতে পেরেছি কিনা? আর যুক্তির কথা যদি বলেন তাহলে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় এই ভালবাসা আর প্রেম অনেক বেশি যুক্তি যুক্ত. কারণ এই ভালোবাসাটা আছে বলেই এখনও সমাজ অনেক ভংকর অপরাধ আর অবানবিক ঘটনা থেকে মুক্ত আছে. একটু বুঝার মানুষিকতা আর যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলে আমার কথার অর্থ গুলো বুঝতে পারবেন