৬টি সহজ উপায় আপনার জন্য,,, ১. ঘুমাতে যাওয়ার ৪ ঘন্টা আগে খান যারা রাত জাগেন তাদের অনেকেরই গভীর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে। আবার অনেকেই রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাসটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে খেয়ে নিন। খেয়েই ঘুমাতে গেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে শরীরে মেদ জমে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে গেলে খাবার ঘুমানোর আগেই হজম হয়ে যায়। ফলে শরীর বাড়তি মেদ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যায়। ২. মশলা প্র্তিদিনের রান্নায় আমরা নানান রকম মশলা খেয়ে থাকি। তার মধ্যে বেশ কিছু মশলা ওজন কমাতে সহায়ক। তার মধ্যে গোল মরিচ, আদা, দারচিনি ইত্যাদি মশলা ওজন কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। নিয়মিত খাবারে এদের ব্যবহার সাহায্য করবে ওজন কমাতে। সকালের জেলি রুটিতে ছিটিয়ে নিন একটু দারুচিনি গুঁড়ো, কিংবা মিশিয়ে নিন দুধের সাথে। ওজন কমাতে ও হার্ট ভালো রাখতে এটা বেশ কার্যকরী। ৩. সবুজ চা সবুজ চা বা গ্রিন টি ওজন কমাতে খুবই উপকারী। এর প্রতিটি দানায় রয়েছে মানুষের শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক পলিফেনল ও কোরোজেনিক এসিড। সবুজ যা মেটাবলিজম বাড়ায় যা কিনা শরীরের ওজন কমাবার প্রধান শর্ত। দৈনিক ২ থেকে ৩ কাপ সবুজ চা পান করে বছরে ১৫ পাউনড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। এবং হ্যাঁ, ব্যায়াম ছাড়াই। কেবল আপনার প্রতিদিনের চা বা কফির বদলে পান করুন সবুজ চা! আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি সান দিয়েগোতে একটি সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে যে গ্রিন টি ওজন কমায়। অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন এমন ১৬ জনকে ২২ সপ্তাহ ধরে সবুজ চা পান করানোর পর দেখা গিয়েছে যে তাদের ওজন গড়ে ৩.৮৫ কেজি কমে গিয়েছে। ৪. সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দিন শুরু করলে শরীর অনেক বেশি কর্মক্ষম থাকে, ফলে শরীরে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয় ও ওজন কমে। আর বাড়তি কিছু করতে চাইলে ঘুম থেকে উঠে নিজের হাতের সাহায্য ছাড়া উঠে বসার চেষ্টা করুন। এতে পেটে চাপ লাগবে এবং পেটের মেদ কমে আসবে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে থেকে কিছুক্ষন হেঁটে এলে তো আরও ভালো। ৫. প্রচুর পানি পান প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। প্রচুর পানি পানে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সহজে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও প্রচুর পানি পান করলে শরীর থেকে দূষিত চর্বি জাতীয় পদার্থ বের হয়ে যায়। পানি পানে খাবার সহজে হজম হয়, ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমে না সহজে। ৬. লেবু-মধু পানীয় সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানির সঙ্গে দুই চা চামচ লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। এর কিছুক্ষণ পর সকালের নাশতা খেতে পারেন। লেবু-মধু পানীয় ওজন কমাতে অব্যর্থ পদ্ধতি। তবে এর সঙ্গে অবশ্যই পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও সম্ভব হলে কিছুটা ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে বেশ দ্রুত আপনার ওজন কমে যাবে প্রাকৃতিক ভাবেই।
ওষুধের মাধ্যমে সাময়িকভাবে ওজন কমলেও তার কুফল পরে ভোগ হয় । তাই প্রাকৃতিক খুব দ্রুত ওজন কমানোর কিছু উপায়: আজকাল অপারেশনের সাহায্যে ভুড়ি বা বেদ কমানো হচ্ছে। লাইপোসাকশন বা অ্যাবডোমিনো ফ্লৎস্টির সাহায্যে মেদ কমানো হচ্ছে। কিন্তু এটার পার্শপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে অনেক। ওজন হ্রাসকারী খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও লোহার অভাব ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে ডিম কলিজা লোহার চাহিদা পূরণ করবে। চেষ্টা করবেন লবণ বর্জিত খাদ্যগ্রহণ করতে। এক্ষেত্রে খাবার মেপে মেপে খাওয়ার প্রয়োজন নেই মোটা মোটি একটা হিসাব করলেই চলবে। শরবত, কোকাকোলা, ফান্টা ইত্যাদি মৃদু পানীয় সব রকম মিষ্টি তেলে ভাঁজা খাবার, চর্বি যুক্ত মাংস, তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, শুকনাফল, ঘি, মাখন, সর ইত্যাদি পরিহার করা প্রয়োজন। শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্য ক্যালরির প্রধান উৎস। অধিক চর্বি যুক্ত কম ক্যালরির খাদ্যে স্থুল ব্যক্তির ওজন খুব দ্রুত কমে। ওজন কমাতে পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়েমের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় পরির্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালঃ দুধ ছাড়া চা বা কফি, দুটো আটার রুটি, একবাটি সবজি সিদ্ধ, ১ বাটি কাঁচা শশা। শশা ওজন কমাতে জাদুর মত কাজ করে। দুপুরঃ ৫০-৭০ গ্রাম চালের ভাত। মাছ বা মুরগির ঝোল ১ বাটি। এক বাটি সবজি ও শাক, শশার সালাদ, এক বাটি ডাল এবং ২৫০ গ্রাম টক দই। বিকালঃ দুধ ছাড়া চা বা কফি, মুড়ি বা বিস্কুট ২টা। রাতঃ আটার রুটি তিনটা, একবাটি সবুজ তরকারি, একবাটি ডালম টকদই দিয়ে এক বাটি সালাদ এবং মাখন তোলা দুধ। দৈনিক এক গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করলে দেহে প্রোটিনের অভাব থাকে না। ৬০ কিলোগ্রাম ওজন বিশিষ্ট ব্যক্তির খাদ্য ৬০ গ্রাম প্রটিন হলেই ভাল হয়। প্রতি মাসে একদিন ওজন মাপতে হবে, লক্ষ্য রাখতে হবে ওজন বাড়ার হার কম না বেশী। ওজন বৃদ্ধি অসুখের লক্ষণ। মেদ বা ভূড়ি এদের অতিরিক্ত ওজন কোনটাই স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। বরং নানা অসুখের কারণ হয়ে দেখা দেয় একথা সব সময় মনে রাখবেন এবং স্বাস্থ্য সচেতন হবেন।
√√ সিরাপ ছাফী খেতে থাকুন, ওজন
কমবে কোন পার্শপ্রতিক্রীয়া নাই। নিরাপদ
সিরাপ। ছাফী স্লিম ও স্মার্ট করে ত্বক ও
ফর্সা করে।
ঘরোয়া উপায়ঃ
১ম দিন
১টি লেবুর রস ১ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
২য় দিন
২টি লেবুর রস ২ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
৩য় দিন
৩টি লেবুর রস ৩ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
৪র্থ দিন
৪টি লেবুর রস ৪ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
৫ম দিন
৫টি লেবুর রস ৫ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
৬ষ্ঠ দিন
৬টি লেবুর রস ৬ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
৭ম দিন
৩টি লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ মধু ১০ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
৮ম দিন
৬টি লেবুর রস ৬ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
৯ম দিন
৫টি লেবুর রস ৫ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
১০ম দিন
৪টি লেবুর রস ৪ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
১১তম দিন
৩টি লেবুর রস ৩ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
১২তম দিন
২টি লেবুর রস ২ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
১৩তম দিন
১টি লেবুর রস ১ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
১৪তম দিন
৩টি লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ মধু ১০ কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
এই পানীয়টি একবারেই খেতে হবে। তবে একবারে খাওয়াটা যদি কষ্টকর হয় তবে যতটা সম্ভব খেয়ে নিন, একটু জিরিয়ে নিয়ে আবার খান। খাবার খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে এই লেবুপানি খাওয়া শেষ করতে হবে।
লক্ষ্য করুন
গ্যস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন এমন কারো জন্য এই ডায়েটটি না করাই ভালো।