সেহরী খাওয়ার পর কারো স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভাঙ্গবে না। কারণ স্বপ্নদোষ রোযাদারের অনিচ্ছায় ঘটে থাকে। সে ব্যক্তি এক্ষেত্রে অপারগ।
শাইখ বিন বায (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যে দিনের বেলায় ঘুমিয়েছে এবং তার স্বপ্নদোষ হয়েছে, বীর্যও বের হয়েছে; সে কি ঐ দিনের রোযার কাযা পালন করবে?
জবাবে তিনি বলেন: তার উপর কাযা আবশ্যক নয়। কেননা স্বপ্নদোষ তার ইচ্ছাধীন নয়। কিন্তু, তার উপর গোসল ফরয; যদি বীর্য দেখে থাকে। (মাজমুউল ফাতাওয়াঃ ১৫/২৭৬)।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল রমযানের দিনের বেলায় যার স্বপ্নদোষ হয়েছে?
জবাবে তিনি বলেন: তার রোযা সহিহ। স্বপ্নদোষের কারণে রোযা ভাঙ্গবে না। কেননা স্বপ্নদোষ তার এখতিয়ারে নেই। ঘুমন্ত অবস্থায় কলম তুলে রাখা হয়।
সুতরাং শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বপ্নদোষ হলো প্রাকৃতিক চাহিদা, মানবীয় চাহিদা। এটার উপর মানুষকে কোনো প্রকারের ধরপাকড় করা হবেনা।
আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ