আপনি "অ্যালবেন ডিএস" ট্যাবলেট খান। ইনশাল্লাহ ৭ দিনের মধ্যে সমস্যা থাকবে না।

Call

ডাক্তারের পরামর্শে কৃমিনাশক ঔষধ খেয়েছেন কি? ডাক্তারের পরামর্শে খেলে কৃমি দুর হয়ে যাওয়ার কথা| নিমের কচি পাতা চিবিয়ে খেলে কৃমি উধাও হয়ে যাবে|কয়েকদিন খেয়ে দেখতে পারেন উপকৃত হবেন| কৃমি ছোঁয়াচে হওয়ার পরিবারের সকল সদস্যকে প্রতি চার মাস পরপর কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়া উচিত|

Jamiar

Call

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ সেবন করুন এবং  ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। এমন কিছু উপায় দেখে নিন   । ১। রসুন রসুন হলো অ্যান্টি প্যারাসাইট খাবার। কাঁচা রসুনে সালফারযুক্ত অ্যামাইনো এসিড থাকে যার প্রকৃতি অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক ধরণের। এছাড়াও রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান থাকে যা শরীরের জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। প্রতিদিন খালি পেটে তিনটি রসুনের কোয়া খান। এটি সপ্তাহে পাঁচদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া দুটি রসুন এক এবং আধা কাপ দুধে জ্বাল দিন। বলক এলে নামিয়ে ফেলুন। এবার এটি পান করুন। এটি এক সপ্তাহ পান করুন। ২। নারকেল কৃমি দূর করতে বেশ কার্যকর একটি উপায় হলো নারকেল। সকালের নাস্তায় এক টেবিল চামচ নারকেল কুচি খান। নাস্তা খাওয়ার তিন ঘন্টা পর এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পান করুন। এটি নিয়মিত পান করুন। তবে ক্যাস্টর অয়েল পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের এবং গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সমস্যাগ্রস্তদের জন্য প্রযোজ্য নয়। নারকেল কুচি ছাড়াও চার থেকে ছয় টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল পান করতে পারেন। এটিও কৃমি দূর করতে সাহায্য করবে। ৩। কাঁচা পেঁপে এক টেবিল চামচ কাঁচা পেঁপের রসের সাথে মধু তিন বা চার টেবিল চামচ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি সকালে খালি পেটে পান করুন। দুই ঘন্টা পর এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পান করুন। এটি দুই থেকে তিন দিন পান করুন। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে অর্ধেক করে নিন। এছাড়া পেঁপের বীচি গুঁড়ো করে নিন। এক কাপ কুসুম গরম দুধ বা পানির সাথে দুই চা চামচ পেঁপের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি খালি পেটে তিনদিন পান করুন। ৪। মিষ্টি কুমড়োর বীচি ইউনিভার্সিটি অফ ম্যারিলেন্ড মেডিকেল সেন্টার কৃমি দূর করতে মিষ্টি কুমড়োর বীচি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মিষ্টি কুমড়োতে থাকা উপাদান অন্ত্রের কৃমিকে মেরে ফেলে। তিন কাপ পানিতে দুই টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়ো বীচি গুঁড়ো দিয়ে জ্বাল দিন ৩০ মিনিট। ঠান্ডা হলে এটি পান করুন। এছাড়া এক টেবিল চামচ ভাজা মিষ্টি কুমড়ো বীচি গুঁড়োর সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। এরপর নাস্তায় কলা বা কিউই খান। ৫। লবঙ্গ লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি পারাসাইটিক, ব্যাকটিরিসাইডাল রয়েছে যা কৃমির ডিম ধ্বংস করে দেয়। এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ লবঙ্গের গুড়ো মিশিয়ে ১০-২০ মিনিট জ্বাল দিন। তারপর পান করুন। এটি দিনে তিনবার পান করুন। এক সপ্তাহ পান করুন। দেখেবন কৃমি দ্রুত মারা গেছে।

Call

আপনি কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করার পর ১২ ঘন্টা মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় কোনো খাবার খাবেন না। তাহলে ইনশাআল্লাহ, এর থেকে মুক্তি পাবেন।

এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। এটি প্রতি দিন সকালে খালি পেটে পান করুন। এছাড়া আধা কাপ গরম পানিতে, আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করতে পারেন। পাঁচ দিন এটি পান করুন। আশকরি কৃমি থাকবে না।