ফরজ গোসলের পদ্ধতি :
১. প্রথমে দুই হাতে কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুয়ে নেওয়া।
২. এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত করা এবং শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুয়ে পরিস্কার করা।
৩. এবার বাম হাতকে ভালো করে ধুয়ে ফেলা।
৪. এরপর অজু করতে হবে তবে দুই পা ধোয়া যাবে না।
৫. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৬. এরপর সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুতে হবে।
৭. গোসলের নাপাক পানি জমে থাকলে, সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “যদি তোমরা জুনুবি হও তাহলে প্রকৃষ্টভাবে পবিত্রতা অর্জন কর।” [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
ফরজ গোসলের নিয়ম সহিহ হাদিস অনুসারে সংক্ষেপে দেওয়া হল।
১।মনে মনে গোসলের নিয়ত করা (নিয়ত পড়া নয়)।
২।‘বিসমিল্লাহ’ বলে গোসল শুরু করা
৩।দুই হাত কবজি পর্যন্ত ধোওয়া (বুখারী ২৪৮)
৪। পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থানপরিষ্কার করা(বুখারী ২৫৭)
৫।বাম হাতটি ভালভাবেঘষে ধুয়ে নেওয়া(বুখারী ২৬৬)
৬।নামাজের ওজুর মতো ভালভাবে পূর্ণরূপে ওজুকরা। (দুই হাত তিনবার ধোওয়া, কুলি করা, নাকে পানি
দেওয়া, মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধোওয়া। মাথা মাসেহ করতে হবে না।) এক্ষেত্রে শুধু পা দুটো বাকি
রাখলেও চলবে, যা গোসলের শেষে ধুয়েফেলতে হবে। (বুখারী ২৫৭, ২৫৯, ২৬৫)
৭।মাথায় পানি ঢেলে চুলের গোড়া ভালভাবেআঙ্গুল দিয়ে ভিজানো।(বুখারী ২৫৮)মহিলাদের বেনী না
খুলেও গোড়া ভালভাবে ভিজলেই হবে। (মুসলিম৩৩০)
৮।পুরো শরীরে পানিঢালা; প্রথমে ডানে,পরে বামে। (বুখারী১৬৮)
৯।গোসলের জায়গা থেকেএকটু সরে গিয়ে দুই পাধোওয়া।(বুখারী ২৫৭)