হাদিসে কিংবা কোথাও এমন কিছু কি লেখ আছে যে, "যিনি একবার হলেও বিশ্বাস করে আল্লাহ্ বলে ডেকেছেনে" তিনি কোন না কোন একদিন সাজা ভোগ করে বেহেস্ত পাবেন...
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Habib96

Call

খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্নের ভেতর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লুকায়িত আছে। রাসুল (সা.) হাদিসের মধ্যে এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ—কালেমাতুত তাওহিদের ঘোষণা দিল, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ এ বক্তব্যের মধ্যে আল্লাহর নবী (সা.) যে ঘোষণার কথা বলেছেন, সেখানে দুটি জিনিস উহ্য রয়েছে। একটি হচ্ছে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহের যে শর্ত রয়েছে সেগুলো পূরণ করা। শুধু ঘোষণা দিয়ে, মুখে লা ইলাহা বললেই যথেষ্ট হবে না, এর শর্তগুলো জানতে হবে। কালেমাতুত তাওহিদের আটটি শর্ত রয়েছে এবং এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন ইমানদার ব্যক্তির এগুলো জানা ফরজ। কোনো ইমানদার ব্যক্তি যদি এগুলো না শিখে, তাহলে তিনি ইমানই আনতে পারেননি, ইমান আনার পরিপূর্ণ সুযোগ তাঁর হয়নি। তাই এ শর্তগুলো তাঁকে পূরণ করতে হবে এবং এর বিপরীত যে কাজগুলো আছে, যেগুলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়, সেগুলো যদি কেউ করে তাহলে কালেমাতুত তাওহিদ নষ্ট হয়ে গেল এবং নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে আর জান্নাতের প্রশ্নই আসে না। তিনি আখিরাতে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবেন, জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ তার থাকবে না। এই আটটি শর্ত যদি কোনো ব্যক্তি পূরণ করে, তাহলে যত গুনাহই করুক না কেন, সেই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যদিও সে চুরি করে, ব্যাভিচার করে, খারাপ কাজে লিপ্ত হয়, তা-ও সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু শর্ত হচ্ছে এই আটটি বিষয় জেনে নিতে হবে।’

"আল্লাহ" বলে ডাকার কথা হাদীসে নেই৷ হাদীসে আছে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" বলার কথা৷ আর এ কালিমা বলার সাথে সাথে যদি ঈমান সংক্রান্ত বিষয়গুলোর উপর বিশ্বাস রাখে এবং ঈমান বিরোধী কোন কাজে লিপ্ত না হয় এবং ঈমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তাহলে সে গুনাহ করলেও মৃত্যুর পর একদিন না একদিন শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যেতে পারবে৷ বি,দ্র, এ আশায় আমল ছেড়ে দেয়া যাবে না৷