রশুনের মধ্যে কি কি গুনাগুন আছে
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

রসুন হৃদ রোগ এবং হার্টের জন্য ভাল ঔষধ,যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একখোসা খেতে পারেন।তাছাড়া যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ইহা ভাল কাজ করে।

রসুনের গুণাগুণ: ১)হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। ২)শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। রক্ষা করে শিরা উপশিরায় মেদ জমার মারাত্মক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে। ৩)উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে। ৪)গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। ৫)ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ৬)অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে। ৭)যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ৮)দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়। ৯)যৌনমিলনের অসাবধানতা বশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে। ১০)হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। ১১)কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ১২)গলব্লাডার ক্যান্সার মুক্ত রাখে। ১৩)স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ১৪)রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। ১৫)প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ১৬)পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে। ১৭)ইষ্ট ইনফেকশন দূর করে। ১৮)শিরা উপশিরায় জমাট বাঁধা রক্ত ছাড়াতে সহায়তা করে। ১৯)ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে। ২০)দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে। ২১)চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ২২)হাতে পায়ে জয়েন্টের ব্যথা দূর করে এবং বাতের ব্যথা সারায়। ২৩)ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ২৪)স্টাফিলোকোক্কাস ইনফেকশন দূর করে। ২৫)দাঁতের ব্যথা সারাতে সহায়তা করে। ২৬)ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে। ২৭)আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে। ২৮)দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ২৯)চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। ৩০)রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ৩১)দীর্ঘমেয়াদী হুপিং কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ৩২)ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা রোগ মুক্ত রাখে। ৩৩)ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ৩৪)দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তথ্যসূত্র ও বিস্তারিত: www.nokkhotro.com/features/lifestyle/about-the-virtues-of-garlic

Jamiar

Call

 রসুনে আয়োডিন, সালফার ও ক্লোরিনও রয়েছে অল্প পরিমানে। খালি পেটে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তুলা যায়। জেনে নিন খালি পেটে রসুন খাওযার উপকারিতাসমূহ: প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক: গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও উপকারিভাবে কাজ করে। বিশেষ করে খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে ব্যাকটেরিয়াগুলো হেরে যায়। ফলে শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসমূহ আর রক্ষা পায় না। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তারা দেখেছেন, রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ ভাল দেখা যায়। এর কারন রসুন খাওয়ার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়। অন্ত্রের জন্য ভালো: খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এই রসুন হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।তাই এই রসুন ক্ষুদামদা ভাব দূর করতে অনেক সহায়ক।রসুন স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।তাছাড়া পরিপাকতন্তেরও নানা সমস্যা দূর করে এই রসুন। শ্বসন: রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুনের মধ্যে সকল রোগ আরোগ্যের করার উপায় সৃষ্টিকারী উৎস বিদ্যমান রয়েছে। যক্ষ্মা প্রতিরোধক: রসুনে এতো উপাদান যে যদি আপনার যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে থাকলে। যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে করা সম্ভাব। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: রোগ-প্রতিরোধে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নাস্তা শেষে এক কোয়া রসুন গিলে ফেলেন। চিবিয়ে খাবেন না, শুধু গিলে ফেলবেন। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। হজমের সমস্যা মুক্তি: ২/৩ টি রসুনের কোয়া কুচি করে সামান্য ঘিয়ে ভেজে নিন। এটি সবজির সাথে কিংবা এমনি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে হজমের নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন।এবং কোস্টকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান হবে। জমে যাওয়া কফ থেকে মুক্তি: রসুন কফের জন্য অনেক উপকারি ঔধষ। খুব সামান্য তেলে ১/২ কোয়া রসুন ভেজে তা ১ টেবিল চামচ মধুর সাথে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খাইলে। এটা যদি নিয়মিত খান তাহলে বুকে জমে যাওয়া কফ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। যৌনতা বৃদ্ধিতে রসুনের ভূমিকা: প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েককোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ি হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলেগিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিৎ। এতে ভাল ফল পাওয়া যাবে। যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রসদুই বা এক চামচ নিয়ে তার সাথে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়। হৃদপিন্ডের সুস্থতা: হৃদপিন্ডের সুস্থতায় রসুন অনেক উপকার করে থাকে। রসুন কোলেস্টরল কমাতে খুবই সহায়ক।এই কারনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কম থাকে।সুতরাং হার্ট এর জন্য রসুন অনেক উপকারি। যে প্রতিদিন রসুনের কয়েকটি কোয়া কাঁচা বা আধা সিদ্ধ করে সেবনে কেলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে। আর রক্তচাপ ও রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখতেও রসুন কাজ করে। রসুনের মধ্যে থাকা সালফার-ভিত্তিক যৌগ অ্যালিসিন মূলত স্বাস্থ্যে এই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, রসুন কাঁচা সেবন সবচেয়ে ভালো। সিদ্ধ করা হলে অ্যালিসিনের ভাবে খেতে হবে ওষধি গুণ কমতে থাকে। গিট বাতের সমাধান: রসুন গিট বাতের রোগে অনেক উপকার করে থাকে। নিয়মিত ২ কোয়া করে খেলে গিটের বাত সেরে যেতে পারে। শরীরের ফোড়া সারাতে: রসুনের রস শরীরের যে কোন পুজ ও ব্যথাযুক্ত ফোড়া সারাতে সাহায্য করে থাকে। যেখানে এই পুজ বা ফোড়া হবে, সেখানে রসুনের রস লাগিয়ে ১৫মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেললে অতিতাড়াতাড়ি সেইটার নিরাময় হয়।দাদ,খোস পাচড়া ধরনের চর্মরোগ থেকে রসুন উপকার দেই।চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্তনা থেকে মুক্তি দেয় এই রসুন। ক্যানসার প্রতিরোধে রসুন: কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে থাকে এই রসুন। গলব্লাডার ক্যানসার হওয়া থেকেও মুক্ত রাখে। মেয়েদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এমনকি রেক্টাল ক্যানসারের হাত থেকে রক্ষা করে। রসুন প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। এই রসুন ইস্ট ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত রসুন সেবনে শরীরে সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়। ব্রনের সমস্যা দূর করতে: রসুনের মধ্যে অনেক গুন আছে।এটি ব্রনের সমস্যায় অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় শরীরে আঁচিল হয়ে থাকে, এই রসুনের রস আচিলের ক্ষেত্রে উপকার করে। পেটের কৃমি নিরাময়: রসুন পেটের কৃমি নিরাময়ে অনেক উপকার করে থাকে। সুতরাং রসুন দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে। রক্ত পরিষ্কার রাখে: রক্ত পরিষ্কারে প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোয়া ও এক গ্লাস পরিমাণ গরম পানি সেবন করতে হবে। আর দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে রক্ত পরিষ্কার হবে এবং ত্বক ভালো থাকবে। আর ওজন কিছুটা কমাতে চাইলে সকালে রসুনের সাথে পান করা গরম পানিতে কিছুটা লেবুর রস দিতে হবে। ঠান্ডা ও জ্বরের মহৌষধ: প্রায়ই ঠান্ডা ও জ্বরে পড়েন এমন ব্যক্তিদের জন্য রসুন হতে পারে এক মহৌষধ। শরীর থেকে জ্বর আর ঠান্ডা দূর করতে প্রতিদিন দু-তিন কোয়া রসুন কাঁচা খেতে হবে। এ ছাড়া রান্না করা বা চায়ের সাথেও রসুন খেতে পারেন। আর রসুনের গন্ধ খারাপ লাগলে এর সাথে আদা ও মধু মিশিয়ে নেওয়া জেতে পারে। এভাবে নিয়মিত সেবনে ঠান্ডা ও জ্বর শুধু সাময়িক দূর হবে না বরং শরীরে এগুলোর প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়বে। ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধ: ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে হাজার বছর ধরেই রসুন ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের কৃমি দূর করতে রসুনের নির্যাস ভালো কাজ করে। রসুনের নির্যাস থেকে ‘মাউথ ওয়াশ’ (মুখের ভেতর পরিষ্কারের তরল) তৈরি করা যায়। এটি নিয়মিত ব্যবহারে মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার বন্ধ হয়ে যায়। কাটা সারিয়ে তুলতে: রসুনের অনেক ব্যবহার বিস্তার হয়ে গেছে, যার একটি হলো কাটা সারিয়ে তোলা। কাঠ বা বাঁশে ছোট টুকরো শরীরে কোথাও ঢুকে গেলে তা বের করে সেখানে রসুনের কোয়া কেটে লাগিয়ে দিতে হবে। একই সাথে শরীরের ওই অংশে ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে উঠবে ওই কাটা স্থান। চোখে ও দাঁতের যত্নে রসুন: রসুন চোখের ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে। আবার দাঁতের ব্যথা সারাতে রসুন সহায়তা করে থাকে। ত্বকের যত্নে রসুনের গুণ: রসুনের ওষধি গুণাবলী সম্পর্কে কম বেশি সবারই আমাদের জানা। হার্ট সুস্থ রাখা থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত রসুনের ভূমিকা রয়েছে। আপনি কি জানেন ত্বকের যত্নেও রসুনের জুড়ি নেই। ত্বকের যত্নে রসুন! অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়? কিন্তু ব্রণ এবং ব্রণের দাগ নিমিষে দূর করে দিতে পারে এই রসুন। এক কথায় ত্বকের যত্নে রসুনের ব্যবহার অপরিসীম।