বয়স ৬ মাস থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত,
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকারঃ

এ রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকার একটি চলমান প্রক্রিয়া । রক্তে লোহিত কণিকার মধ্যে থাকা হিমোগ্লোবিনেই থাকে থ্যালাসেমিয়া রোগীর মূল সমস্যা । এজন্য একে হিমোগ্লোবিন ডিসঅর্ডারও বলা হয়। জেনেটিক ত্রুটির কারণে এদের হিমোগ্লোবিন অপূর্ণাঙ্গ বা ত্রুটিপূর্ণ হয়ে তৈরি হয়। ফলে রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন ভালো হয় না। আর হলেও তা প্লীহাতে অকালে ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়- যার ফলাফল রক্তস্বল্পতা ।

যেহেতু হিমোগ্লোবিনের প্রধান উপাদান আয়রন, সে কারণে ভেঙে যাওয়া লোহিত কণিকা থেকে নির্গত আয়রন শরীরের নানা অঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমা হতে থাকে। মাত্রাতিরিক্ত আয়রনের বিষক্রিয়া এসব অঙ্গের স্থায়ী ক্ষতিসাধন করে থাকে- যেমন হার্ট ফেইলিওর, লিভার সিরোসিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কের পিটুইটারী গ্রন্থিতে সমস্যার কারণে দেরীতে বয়ঃপ্রাপ্তি এবং অপর্যাপ্ত দৈহিক বৃদ্ধি। সেজন্য থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকার করা হয় এ দুটি মূল সমস্যা- রক্তস্বল্পতা ও শরীরে জমা মাত্রাতিরিক্ত আয়রন লক্ষ্য করে।

নিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালন ও শরীর থেকে আয়রন কমানোর ঔষধ খাওয়ানোই থ্যালাসেমিয়া রোগের মূল চিকিৎসা। এছাড়া শরীরে অতিরিক্ত আয়রনের ফলে সৃষ্ট হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, অপর্যাপ্ত শারীরিক বৃদ্ধির চিকিৎসা করা প্রয়োজন। থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো তবে যথাযথ চিকিৎসার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Ayesha

Call

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত অসুখ এবং জিন বাহিত। থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রধান লক্ষণ রক্ত কনিকার হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিকভাবে তৈরি না হওয়া। এর ফলে রক্তাল্পতা, বিশেষভাবে লাল কনিকার মাত্রাতিরিক্তি ক্ষয়জনিত কারণে রক্তাল্পতা (Haemolytic Anaemia) দেখা যায়। বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থায় এ রোগের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। যেহেতু রক্তাল্পতা এর প্রধান লক্ষণ তাই রোগীকে রক্ত দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে হয়। অস্থি-মজ্জা সংযোজন (Bone Marrow transplantation) চিকিৎসায় এখন ভাল ফল পাওয়া যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশে এ চিকিৎসা শুরু হয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এ রোগীর রক্তদানের প্রয়োজন কমে যায়। রোগীর জীবনমান ঠিক রাখা যায়। কিন্তু রোগী আরোগ্য লাভ করে না। বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণায় দেখা গেছে, থ্যালোসেমিয়া রোগীরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভাল থাকে, কিন্তু ভাল হয় না। তাই যারা এ সব রোগীর বাণিজ্যিক চিকিৎসা করেন, তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।