আমার উচ্চতা ৫'২" এবং ওজন ৫৮ কেজি।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমানোর কার্যকরি প্রাকৃতিক উপায়ঃ 2 লিটার পানি 1 চা চামচ অাদা কুচি 1 টি শশা ছোট টুকরা করে কাটা 1 টি মাঝারি লেবু 12 টি পুদিনা পাতা সব একসাথে কাচের পাত্রে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে উঠে খালি পেটে 1গ্লাস তারপর সারাদিন পানি মত পান করে যান, এক মাসের মধ্যে ফলাফল বুঝতে পারবেন। বিঃদ্রঃ গরুর মাংস, ভাত ও অন্যান্য চর্বি জাতীয় খাবার একটু কমিয়ে দিয়ে প্রচুর ফল, সব্জি ও সালাদ খেলে ভাল ফল পাবেন এবং সাথে অন্যান্য ব্যায়াম ও হাটা-হাটি করতে হবে। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

১) প্রাকৃতিক হোক কিংবা কৃত্রিম, চিনি হচ্ছে চিনি। তাই মিষ্টি জাতয় খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করুন। আগে মনে করা হতো চিনির চাইতে মধু ভালো বা মধু খেলে ওজন বাড়বে না। বিষয়টি কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। মিষ্টি খাবার বেশী খেলে ওজন বাড়বেই! ২) ওজন কমানোর জন্য সব খাবারের "ফ্যাট ফ্রি" ভার্সন বেছে নিচ্ছেন? এই কাজটিও বাদ দিন। সাধারণত ফ্যাট ফ্রি খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে না, কিংবা থাকে কৃত্রিম ফ্যাট। দুটিই আপনার জন্য সমান ক্ষতিকর। বরং লো ফ্যাট খাবার বেছে নিন, কিংবা রেগুলার ফুল ফ্যাটই খান। তবে পরিমাণে কম। ৩) আগে মনে করা হতো ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন ৬ বার আহার করা উচিত, অল্প অল্প করে। এই ভাবনাটাও বাদ দিন। তখনই খাওয়ার অভ্যাস করুন যখন আপনি সত্যি সত্যি ক্ষুধার্ত। ৪) এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন যা আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখবে ও ঘন ঘন ক্ষুধা লাগতে দেবে না। এতে আজেবাজে খাবার খাওয়া রোধ হবে। যেমন প্রোটিন বা আঁশ জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। সকালের নাস্তায় ডিম খেলে দুপুরের আগে আর আপনার ক্ষুধা অনুভূত হবে না। ফলে ক্যালোরি গ্রহণ থাকবে নিয়ন্ত্রণে। ৫) লবণ ছাড়া বাঙালির ভাতের পাত যেন জমেই না। তবে ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতি অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস। একই সাথে অতিরিক্ত লবণ দেয়া বাদাম, চিপস বা প্রসেসড ফুড ইত্যাদি সবই বাদ দিতে হবে। ৬) সকলেই মনে করেন যে ওজন কমানোর জন্য মুরগীর মাংস খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো। তবে সত্য এটাই যে আপনি চর্বি ফেলে দিয়ে যে কোন মাংসই খেতে পারেন। তবে হ্যাঁ, পরিমাণে অল্প। আর ফার্মের মুরগীর বদলে দেশী মুরগি খেতে পারলে সেটা আরেকটু বেশী স্বাস্থ্যকর। ৭) অনেকেই মনে করেন মাখন বা ঘি বাদ দিয়ে সয়াবিন তেল খেলে তাতে বুঝি ফ্যাট কম। সত্যটা এই যে, তেল বা তেল জাতীয় খাবার কোনটাই আমাদের সজরিরের ও ওজনের জন্য ভালো নয়। মাখন হোক, ঘি বা সয়াবিন তেল ইত্যাদি যত কম খাবেন ততই ভালো। অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আরও স্বাস্থ্যকর। ৮) ভাতের বদলে রুটি খাচ্ছেন দুই বেলা, তাও কমে না ওজন? কমবেও না। ভাতের বদলে রুটি খেয়ে ভাবছেন যে অনেক কম খাওয়া হচ্ছে। কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে দুটিই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। আর এই কার্বোহাইড্রেট অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়বেই। ভাত হোক বা রুটি, সবই খেতে হবে পরিমাণে খুবই পরিমিত। ৯) ওজন কমাতে চাইলে সারাদিন শুধু ফলমূল আর সবজি খেয়ে থাকতে হবে? একদম কিন্তু নয়! বরং আপনার প্রত্যেক বেলার খাবারের অর্ধেকটা রাখুন সবজি ও ফল, বাকি অর্ধেক রাখুন নিয়মিত পছন্দের খাবার। তাতেই আপনার ওজন কমবে আর ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

ওজন কমানোর উপায়: আজকাল অপারেশনের সাহায্যে ভুড়ি বা বেদ কমানো হচ্ছে। লাইপোসাকশন বা অ্যাবডোমিনো ফ্লৎস্টির সাহায্যে মেদ কমানো হচ্ছে। কিন্তু এটার পার্শপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে অনেক। ওজন হ্রাসকারী খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও লোহার অভাব ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে ডিম কলিজা লোহার চাহিদা পূরণ করবে। চেষ্টা করবেন লবণ বর্জিত খাদ্যগ্রহণ করতে। এক্ষেত্রে খাবার মেপে মেপে খাওয়ার প্রয়োজন নেই মোটা মোটি একটা হিসাব করলেই চলবে। শরবত, কোকাকোলা, ফান্টা ইত্যাদি মৃদু পানীয় সব রকম মিষ্টি তেলে ভাঁজা খাবার, চর্বি যুক্ত মাংস, তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, শুকনাফল, ঘি, মাখন, সর ইত্যাদি পরিহার করা প্রয়োজন। শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্য ক্যালরির প্রধান উৎস। অধিক চর্বি যুক্ত কম ক্যালরির খাদ্যে স্থুল ব্যক্তির ওজন খুব দ্রুত কমে। ওজন কমাতে পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়েমের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় পরির্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালঃ দুধ ছাড়া চা বা কফি, দুটো আটার রুটি, একবাটি সবজি সিদ্ধ, ১ বাটি কাঁচা শশা। শশা ওজন কমাতে জাদুর মত কাজ করে। দুপুরঃ ৫০-৭০ গ্রাম চালের ভাত। মাছ বা মুরগির ঝোল ১ বাটি। এক বাটি সবজি ও শাক, শশার সালাদ, এক বাটি ডাল এবং ২৫০ গ্রাম টক দই। বিকালঃ দুধ ছাড়া চা বা কফি, মুড়ি বা বিস্কুট ২টা। রাতঃ আটার রুটি তিনটা, একবাটি সবুজ তরকারি, একবাটি ডালম টকদই দিয়ে এক বাটি সালাদ এবং মাখন তোলা দুধ। দৈনিক এক গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করলে দেহে প্রোটিনের অভাব থাকে না। ৬০ কিলোগ্রাম ওজন বিশিষ্ট ব্যক্তির খাদ্য ৬০ গ্রাম প্রটিন হলেই ভাল হয়। প্রতি মাসে একদিন ওজন মাপতে হবে, লক্ষ্য রাখতে হবে ওজন বাড়ার হার কম না বেশী। ওজন বৃদ্ধি অসুখের লক্ষণ। মেদ বা ভূড়ি এদের অতিরিক্ত ওজন কোনটাই স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। বরং নানা অসুখের কারণ হয়ে দেখা দেয় একথা সব সময় মনে রাখবেন এবং স্বাস্থ্য সচেতন হবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ