শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

দেশি মুরগীর খামার কিভাবে শুরু করবেন? শুরু করতে আপনার লাগবে টাকা আপনার খাবার এর আয়তন এবং মুরগির বাচ্চা কত গুলো দিয়ে তৈরি করবেন এটার উপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগবে আপনার খামারে । এছাড়া অন্যান্য জানার বিষয়সমূহ -- থাকার ঘর : একটি মোরগের সংসার গড়তে প্রথমে প্রয়োজন হবে মুরগির ঘর ঠিক করা। মুরগির থাকার ঘর উচ্চতায় চার ফুট, প্রস্থে সাড়ে ৪ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ৬ ফুট করুন। এর ভেতরে ডিম পাড়ার খাঁচি, খাবার পাত্র ও পানির পাত্র রাখুন। আরও খেয়াল রাখবেন (১) ঘর সব সময় শুকনো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। (২) খোলামেলা স্থানে ঘর বানাবেন (৩) ঘরের মেঝে তিন ইঞ্চি পুরু হয় এ পরিমাণ তুস, কাঠের গুঁড়া বা বালির সঙ্গে আধা কেজি গুঁড়া চূর্ণ ভালোভাবে মিশিয়ে সমানভাবে বিছিয়ে দিন। (৪) মেঝের কাঠের গুঁড়া বা তুস ৭ দিন পরপর ওলট-পালট করে দেবেন। স্যাঁতসঁতে হলে বা জমাট বেধে গেলে তা পরিবর্তন করে দেবেন। ঘরে আটকে না রেখে বাইরেও মুরগি পালন করতে পারেন। সংগ্রহের স্থান : উন্নত জাতের মুরগি কোথায় পাবেন এ নিয়ে ভাবনার কোনোই কারণ নেই। ঢাকার মণিপুর কেন্দ্রীয় মোরগ-মুরগি খামার থেকে কিংবা কৃষি খামার সড়কের পশুসম্পদ অধিদপ্তরের বিক্রয় কেন্দ্র থেকে উন্নত জাতের দেশি মুরগি সংগ্রহ করুন। খাদ্য : অধিক ডিম পেতে হলে মুরগিকে দৈনিক সুষম খাবার খেতে দেবেন, প্রত্যহ প্রতিটি মুরগিকে ১১৫ গ্রাম সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি ও ২৫ গ্রাম সবুজ শাক-সবজি বা কচি ঘাস কুচি কুচি করে কেটে খেতে দিন। আপনি নিজেই সুষম খাদ্য তৈরি করতে পারেন। সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো নিম্নরূপ : খাদ্য উত্পাদন-গম/ভুট্টা ভাঙা বা চালের খুদ ৪০০ গ্রাম। গমের ভুসি ৫০ গ্রাম। চালের কুঁড়া (তুষ ছাড়া) ২৫০ গ্রাম। তিলের খৈল ১২০ গ্রাম। শুঁটকি মাছের গুঁড়া ১০০ গ্রাম। ঝিনুকের গুঁড়া ৭৫ গ্রাম। সুষম খাদ্য মোট ১,০০০ গ্রাম বা ১ কেজি। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা : আপনার মুরগিকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেবেন। পশুসম্পদ বিভাগ থেকে বিনামূল্যে রানীক্ষেত, কলেরা, বসন্ত রোগের প্রতিষেধক টিকা সংগ্রহ করতে পারেন। আরেকটু খেয়াল রাখবেন, আপনার মুরগি অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে পশু চিকিত্সালয়ের পরামর্শ নেবেন। অসুস্থ মুরগিকে চিহ্নিত করে তত্ক্ষণাত্ আলাদা করে রাখুন। তা ছাড়া রোগাক্রান্ত মুরগির বিষ্ঠা ও লালা সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করে তা মাটিতে পুঁতে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

খরচ কমানোর জন্য স্হানীয়ভাবে প্রাপ্ত বাঁশ কাঠ ও ছন দিয়ে একচালা বা দো চালা ঘর তৈরি করা যায়।ঘরটি পাড় থেকে ১.২ থেকে ১.৫মিটার।ঘরের মেঝের দুরত্ব ০.৪৬-০.৬মিটার(১.৫-২ ফুট) এবং মেঝে থেকে ঘরের চালার উচ্চতা হবে ১.২-১.৫ মিটার(৪-৫ফুট)।বাচ্চা অবস্হায় ৯০ দিন পর্যন্ত প্রতিটি মুরগি জন্য প্রতিদিন ৬০ ৯০ গ্রাম এবং পরবর্তীতে ১১০১২৫ গ্রাম সুষম খাদ্য দিতে হবে।খাদ্য খাওয়ানোর সময় প্রয়োজনমতো পানি মিশিয়ে দিতে হবে।রোগ হলে নিকটস্হ পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।রোগ প্রতিরোধের জন্য সবসময় শুকনো রাখতে হবে।ঘরের মেঝে এবং খাদ্য ওপানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ