শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

গণতন্ত্রের একটা কাঠামোগত রূপ হচ্ছে প্রজাতন্ত্র। প্রাচীন গ্রীসে সরাসরি গণতন্ত্রের প্রচলন ছিল, সকল বিষয়ে সকল নাগরিকের ভোট নেয়া হত। এখন যেহেতু জনসংখ্যা অনেক বেশি তাই প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের প্রচলন হয়েছে। এখানে আমরা ভোট দিয়ে প্রতিনিধি বানাই (হি হি), তারা সংসদে গিয়ে আমাদের হয়ে আইন প্রণয়ন করেন। আর প্রজাতন্ত্রের সাধারণত একটি সংবিধান থাকে এবং জনগন দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিগন এই সংবিধানের বাইরে গিয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠরা চাইলেও এই সংবিধানের ব্যত্যয় করে কাজ করতে পারবেন না। ধরুন আজ কোন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠীর মনে হল তারা সংখ্যালঘুদের উপাসনার সুযোগ দেবেনা অথবা তাদের উপর ট্যাক্সের হার বাড়িয়ে দেবে। প্রজাতন্ত্রে তারা এটা করতে পারবে না। কারন সংবিধান মতে রাষ্ট্র এখানে প্রতিটি ব্যক্তির নিরাপত্তা এবং অধিকার দিতে বাধ্য। গণতন্ত্রে তাদের এটা করতে কোন বাধা নেই, কারন সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছাই এখানে পালনীয়। আধুনিক রাষ্ট্রগুলো সত্যিকার অর্থে কোনটা মেনে চলে সেটা নিয়ে অবশ্য প্রচুর বিতর্ক আছে। কারন সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ চাইলে সংবিধান ও পরিবর্তন এবং পরিমার্জন করতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ