শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সদ্য বিয়ে হয়েছে এমন দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়? বিশেষ করে নারীদের। এদের দেখা যায় খাওয়া শেষের পরও খাবার নষ্ট হবে এই চিন্তায় বাড়তি খাবারগুলোও খেয়ে নেয় যার পরিণতিতে ওজন বাড়তে থাকে। আমাদের দেশের নারীরা স্বামী বা সন্তানের প্লেটের বাড়তি খাবারও খেয়ে নেন এজন্যও অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে যুক্ত হয়ে, ওজন বাড়তে পারে। আর পুরুষরা সাধারণত বাড়িতে ভালো অংশটি যেমন মাছের মাথা, মুরগীর রানটাই খেয়ে থাকেন এবং বাইরের খাবারও বেশি সময় খান। এজন্য তাদের ওজনও বেড়ে যায়। তবে বাড়তি ওজন কমিয়ে যদি ঝরঝরে ফিট আর সুন্দর ফিগারেই থাকতে চান তবে যা করতে হবে: ১.অনেকেরই অভ্যেস আছে প্রতিদিন বাড়ি ফেরার সময় বাইরের মুখরোচক খাবার নিয়ে আসেন। এসব তেলে ভাজা বা ফাস্টফুড খাবারের পরিবর্তে সন্ধ্যায় একবাটি ফল কেটে দু’জন মিলে খেতে পারেন। ২.বাইরের খাবার যদি খুব পছন্দের হয় তবে ছুটির দিনে রাতে একসঙ্গে বাইরে গিয়েই খান। বাইরে গিয়ে খাবারের অর্ডার দেওয়ার সময় যতটুকু খাবার তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারবেন ততটুকুই অর্ডার করুন। ৩.মেইন ডিস আসার আগে সালাদ এবং ক্লিয়ার সুপ খেয়ে নিন। ডেজার্ট খেতে চাইলে একটি আইটেম নিয়ে ভাগ করে খান। ঘরে বা বাইরে খাবার যতোই পছন্দের হোক না কেন, নিজের ইচ্ছা বা কারও অনুরোধে অতিরিক্ত খাবেন না। ৪.নিজের এবং পরিবারের সুস্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের। তাই বাড়ির রান্না স্বাস্থ্যসম্মত করতে রান্নায় তেলের পরিমাণ কমিয়ে দিন। মাংসের পরিবর্তে মাছের ওপর নির্ভরতা বাড়ান। আর প্রতিবেলায় খাবারে প্রচুর শাক-সবজি রাখুন। সুস্বাস্থের বিষয়টি সামনে আনতে পারলে দেখবেন পরিবারের অন্যরা ঝামেলা ছাড়া এগুলো খেয়ে আপনাকে এবিষয়ে সাহায্যই করবে। ৫.একটি মজার বিষয় হচ্ছে নারীরা যখন বাইরে খান তখন খাবার ছোট পরিমাণে মুখে দেন এবং খুব ধীরে ধীরে অনেক সময় নিয়ে খান। এতে তাদের পরিমাণের চেয়ে কম খাবার খেলেও পেট ভরে যায়। কারণ আমরা যখন খুব দ্রুত খেতে থাকি তখন পেট ভরে যাওয়ার সংকেত আমাদের মস্তিস্কে পৌঁছতে বেশি সময় লাগে। এজন্য বেশি খাবার খাওয়া হয়। ধীরে ধীরে খেলে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়ার স্পৃহা থাকে না বলেই বিশেষেজ্ঞরা পুরুষদেরও এমন নারীর মতো করেই খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বাড়তি ওজন মানেই হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, রক্তে কলেস্টরেলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, হতাশার মতো নানা ঝামেলা সব মিলে আমাদের মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরের সুস্থ্ থাকতে এবং ওজন ঠিক রাখতে প্রথমে খাবার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি তারপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিয়মিত অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করা।