শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ট্রাম্পের পরাজিত হওয়ার কারণসমূহ: হাস্যকর কথাবার্তা বলে নিজেকে গোপাল ভাঁড় প্রমাণের চেষ্টা করা। যেমন:হৃদপিণ্ড থাকে পাকস্থলীতে,কখনো পারমাণবিক বোমা মেরে ঘূর্ণিঝড় বন্ধ করার কথা বলেছেন। ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতি। ট্রাম্প সিরিয়া কিংবা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা(বিশেষ করে মুসলিম অভিবাসীদের ক্ষেত্রে ) শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ।নানা সময় কৃষনাঙ্গদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সমকামীতা এবং গর্ভপাতের বিরুদ্ধে অবস্থান। তবে এগুলো সবচেয়ে বড় কারণ নয়। ট্রাম্প যখন হিলারির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়ছিলেন তখন ট্রাম্প যেমন ছিলেন এখনো তেমনি আছেন। ট্রাম্প যে এসব নীতি গ্রহণ করবেন তা আগেই জানা ছিল।কিন্ত তারপরও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।ট্রাম্প গতবার যেসব নীতি গ্রহণ করেছিলেন এবারও একই নীতি গ্রহণ করার পরও তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলেন না। কারণ— করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা- দুদিক থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তালিকার এক নম্বরে।অথচ ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি তিনি সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছেন। আবার কখনো দোষ চাপিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা চীনের উপর।আবার কখনো মাস্ক পড়ার বিরোধিতা করেছেন, টেস্ট কমানোর কথা বলেছেন।এমনকি  অনুসারে বেশিরভাগ আমেরিকান মনে করেন ট্রাম্প সঠিকভাবে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে পারেননি। করোনা ভাইরাস নির্বাচনি ফলাফল নির্ধারণে বাইডেনের বন্ধু আর ট্রাম্পের শত্রু হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে।করোনা ভাইরাস মহামারি অবস্থা তৈরি না হলে কিংবা ট্রাম্প প্রশাসন যদি সঠিকভাবে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে পারতো ,নির্বাচনি ফলাফল হয়তো অন্যরকম হতো।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ