শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ  রোগের লক্ষন বুঝতে অনেক সময় লাগে কারন সংক্রমিত হওয়ার কমপক্ষে এক বছর আগে পর্যন্ত কোন লক্ষণ বা উপসর্গই দেখা যায় না। সাধারণত জীবাণু সংক্রমণের ৫ থেকে ৭ বছর পর উপসর্গসমূহ দেখা যায় এবং  উপসর্গ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। রোগের যেসকল লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা যায়: •ত্বকে স্পর্শ, ব্যথা ও তাপমাত্রার অনুভূতি হ্রাস পেতে পারে। •সংক্রমিত স্থানে পিন্ড দেখা দিতে বা ফুলে যেতে পারে। •স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হলে সে সকল ব্যক্তি মনের অজান্তেই নিজের শরীরের নানারকম ক্ষতি করতে পারে যেমন, শরীরের কোন জায়গা কেটে যেতে বা পুড়ে যেতে পারে। তিন রকমের কুষ্ঠ রোগ হতে পারে। নিম্নে তিন রকমের কুষ্ঠ রোগের উপসর্গ ও লক্ষণসমূহ দেওয়া হলঃ •টিউবারকিউলয়েড (Tuberculoid) : ত্বকে লালচে দাগ পড়ে এবং লালচে দাগের পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় মসৃণ সাদাটে দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত স্থানের অনুভূতি হ্রাস পায়। •লেপ্রোমেটাস (Lepromatous) : ত্বকের উপরিভাগে বেশকিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পিন্ড অথবা অনেকখানি স্থান জুড়ে লালচে দাগ দেখা যায়। শরীরের অনেক স্থান অসাড় হয়ে যায় এবং মাংসপেশী দূর্বল হয়ে যায়। ত্বকের অনেক অংশ এবং শরীরের নানা অঙ্গ যেমন-কিডনী, অন্ডকোষ এবং আরও অনেক অঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। •বর্ডারলাইন (Borderline) : উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য গুলো বিদ্যমান থাকে এবং চিকিৎসা না করানো হলে এটি টিউবারকিউলয়েড কুষ্ঠের মত বৈশিষ্ট্য ধারণ করে কিন্তু পরে আরো খারাপ হয়ে  লেপ্রোমেটাস কুষ্ঠের মত বৈশিষ্ট্য ধারন করতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ