শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মহান প্রভু মানুষকে বানিয়েছেন সেরা বুদ্ধিসম্পন্ন জীব। ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সেরা সৃষ্টি হিসেবে আল্লাহ আদম ও বনি আদমকে সৃষ্টি করেন। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন, ‘আমি বনি আদমকে উচ্চ সম্মানিত করেছি, তাদের স্থল ও জলপথে বহন করে নিয়েছি, তাদের পবিত্র বস্তুগুলো থেকে খাদ্য দান করেছি এবং আমার বহু সৃষ্টির ওপরে তাদের উচ্চ মর্যাদা প্রদান করেছি’ (ইসরা ১৭/৭০)। এই পৃথিবীতে আল্লাহর যত সৃষ্টি রয়েছে, তার প্রত্যেকটি মানুষের জন্য কল্যাণকর, কোনটা প্রত্যক্ষ, কোনটা পরোক্ষ। সব সৃষ্টির ব্যাপারে নাম উল্লেখ থাকাটা জরুরি নয়। যেমনটা বাশের ক্ষেত্রে। বাঁশ চাষ কিংবা জন্মানোর জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। আমাদের অঞ্চলে প্রায় ৮ মাস বৃষ্টি হয় যে কারণে এই অঞ্চলে বাশের আধিক্য বেশি এবং যে কারণে বাঁশ আমাদের দেশে সস্তা একটি বস্তু। যে কারণে কাঠের বিকল্প হিসেবে বাশের ব্যবহার এই অঞ্চলে প্রচুর এখন ত আমরা রডের বিকল্প হিসেবেও বাশের ব্যবহার শিখে গেছি। এবং এই সস্তার কারণেই এই অঞ্চলে বাঁশ দিয়ে কবর এর ছাদ দেয়া হয়। অন্যদিকে মরুভুমি অঞ্চলে বাঁশ তেমন জন্মে না। যে কারণে অই সব অঞ্চলে খেজুর গাছের কাঠ কিংবা অন্য বিকল্প বস্তুর দ্বারা কবর দেয়া হয়। পিপড়া থেকে শুরু করে বিশাল মহাকাশ পর্যন্ত সকল কিছুই মানুষের কল্যানের জন্য। মানুষের জ্ঞান এর জন্য। মানুষের প্লেট থেকে পরে যাওয়া খাদ্য যেমন পিপড়া খেয়ে সাফ করে ফেলে। কাক যেমন ময়লার ভিতর থেকে শস্যদানা খুঁজে বের করে খায়, যাতে আল্লাহর দান করা শস্যদানা অপচয় না হয়।