শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার মাঝে পার্থক্য আছে। জ্ঞান বলতে বুঝায় কোনো কিছু সম্পর্কে সম্যক ধারণা করার মতো শক্তি বা বোধশক্তি। প্রজ্ঞা বলতে বুঝায় জ্ঞানকে হৃদয়ঙ্গম করে, নিজের অভিজ্ঞতা দ্বারা এর সুফলকে, বাস্তবে প্রয়োগ করার মতো শক্তি। জ্ঞান, পুঁথিগত বিদ্যা থেকে অর্জন করা সম্ভব। প্রজ্ঞা অর্জন করা সম্ভব নয়। প্রজ্ঞা লাভ হয়। যে জন দিবসে মনের হরষে, জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি। অর্থাৎ, যে দিনের বেলা, প্রয়োজন নেই, তবু ও ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখে, অতি সত্বরই তার গৃহে অন্ধকারে, আলো দেখা যাবে না। অর্থাৎ, জীবনে অমিতব্যয়ী হওয়া উচিৎ নয়। একজন জ্ঞানী এই লাইনগুলির অর্থ বিশ্লেষণে সক্ষম হবেন, কারণ, তিনি জ্ঞানী। কিনতু, তিনি যখন, এই কথাগুলোর অন্তর্নিহিত অর্থ অনুধাবন করে, নিজের জীবনে এর প্রয়োগ ঘটাবেন এবং অন্যকে ও অমিতব্যয়ের নেতিবাচক দিকটি সম্পর্কে সজাগ করতে সক্ষম হয়ে উঠবেন, তাঁর অর্জিত জ্ঞানের সুফল অন্যের মাঝে প্রতিফলিত করার প্রযোজন বোধ করবেন এবং প্রতিফলিত করতে সক্ষম হবেন, তখন, তিনিই হয়ে উঠেন প্রজ্ঞাবান। অর্জিত জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করে, জ্ঞানের সুফল কে যখন কেউ প্রকট করে তুলতে সক্ষম হন, অন্যের কল্যাণে তাঁর অর্জিত জ্ঞান তথা লব্ধ অভিজ্ঞতার প্রয়োগ করেন, তখন তিনি প্রজ্ঞা লাভ করেন। একজন জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান না ও হতে পারেন, কিন্তু, একজন প্রজ্ঞাবান, নিশ্চিতভাবেই জ্ঞানী। কারণ, জ্ঞান অর্জন ভিন্ন, প্রজ্ঞালাভ অসম্ভব। মহাপুরুষগণ তাঁদের অর্জিত জ্ঞানের তত্ব বিশ্লেষণ করে, তার দ্বারা মানুষের কল্যাণ সাধনে ব্রতী হন, সেজন্য, তাঁরা প্রজ্ঞাবান। জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার পার্থক্য সম্পর্কে, ভিন্ন ব্যাখ্যা ও থাকতে পারে। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ