মানব বুদ্ধিমত্তার সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিচে এগুলো উল্লেখ করা হলোঃ মানব বুদ্ধিমত্তা ১. মানব বুদ্ধিমত্তা সরাসরি ইন্দ্রিয়সমূহের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করে তার পারদর্শীতা প্রদর্শন করে। ২. মানব বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টিশীল। ৩. মানব বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে খুব সহজে প্রতিরূপ তৈরি বা অন্যকে সরবরাহ করা যায় না। ৪. মানব বুদ্ধিমত্তা প্রকৃতগতভাবে প্রাপ্ত। ৫. মানব বুদ্ধিমত্তা চিরস্থায়ী নয়; কোনো কারণে এ বুদ্ধিমত্তার অবনতি ঘটতে পারে। ৬. মানব বুদ্ধিমত্তা ক্রমেই বিকশিত হতে পারে। ৭. মানব বুদ্ধিমত্তাকে লিখে রাখা সম্ভব নয়। ৮. এক জাতীয় কাজ হলেও মানব বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহারের বিষয়টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যয়বহুল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ১. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইন্দ্রিয়সমূহের অভিজ্ঞতাকে সরাসরি ব্যবহারের সুযোগ থাকে না। ২. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টিশীল নয়। ৩. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মূলত বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা খুব সহজেই প্রতিরূপ তৈরি ও অন্যদের কাছে সরবরাহ করা যায়। ৪. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের দ্বারা কৃত্রিম উপায়ে প্রাপ্ত। ৫. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাধারণত চিরস্থায়ী। কম্পিউটার পদ্ধতি ও প্রোগ্রাম বদল করা না হলে এর স্থায়িত্ব বজায় থাকবে। ৬. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্বাভাবিকভাবে বিকাশের কোনো সুযোগ নাই। ৭. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রোগ্রাম কোড আকারে লিখে রাখা যায়। ৮. একই জাতীয় কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ততটা ব্যয়বহুল নয়।