শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মাইগ্রেন ব্যাথার লক্ষণঃ ঘাড়সহ মাথা ব্যথা, আবছা দেখা, অস্বস্তিকর অনুভূতি, বমি বমি ভাব, শব্দ এবং উজ্জ্বল আলো, বিষণ্নতা, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি মাইগ্রেনের অন্যতম লক্ষণ। মাইগ্রেনের ব্যথার পেছনে কিছু কিছু ফ্যাক্টরকে দায়ী করা হয়। যেমনঃ ১।মহিলাদের হরমোনাল পরিবর্তন। ওরাল কনট্রাসেপ্টিভ পিল (জন্মবিরতিকরণ বড়ি) খেলে কিংবা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিলে অনেকের মাইগ্রেন বেড়ে যেতে পারে। ২। কিছু খাবার যেমন চিজ, বেশি লবণযুক্ত খাবার , প্রসেসড খাবার ইত্যাদি। এমনকি কোনো বেলার খাবার মিস করা, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা। ৩। মদ বিশেষ করে ওয়াইন, বেশি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়। ৪। অতিরিক্ত স্ট্রেস। ৫। উজ্জ্বল আলো, উচ্চশব্দ। ৬। না ঘুমানো বা অতিরিক্ত ঘুমানো। ৭। বেশি ভারী কাজ, অনেকক্ষেত্রে যৌনসংসর্গও। ৮। আবহাওয়ার পরিবর্তন। মাইগ্রেনের ব্যথা যদি শুরুই হয়ে যায়, তখন করণীয়ঃ ১. নিরিবিলি পরিবেশ খুঁজে নিন। ২. আলো ও শব্দ থেকে দূরে থাকুন। ৩. ব্যথার স্থান ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন। ৪. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এসপিরিন/প্যারাসিটামল+ বমি নিরোধক জাতীয় ওষুধ খেতে হতে পারে। মাইগ্রেন প্রতিরোধে করণীয়ঃ  ১. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ করুন। ২. শোবার ঘর পরিষ্কার ও ঝামেলামুক্ত রাখুন। ৩. নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত খাবার গ্রহণ করুন। ৪. কোনো খাবার মাইগ্রেনের কারণ হলে তা পরিহার করুন। ৫. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেতে থাকলে তা বন্ধ রাখুন। ৬. পরিবেশগত কারণে যদি ধোঁয়া, ধুলাবালি, প্রচণ্ড গরম বা শীতের বাতাসের মাঝে বের হতে হয় তবে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ