শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ফুলন্ত অবস্থায় পুরো গাছ তুলে শুকিয়ে নিয়ে ওষুধের কাজে ব্যবহার করা হয়। অত্যধিক তিক্ততা, জ্বর ও কৃমিনাশক শক্তি এবং পাচকতার গুণে চিরতা সারা ভারতে সুপ্রসিদ্ধ। ঔষধী গুণে, চিরতা জেণ্টিআনা কুরুর অনুরূপ। জ্বর, অতিসার এবং দুর্বলতায় চিরতা খুব উপকারী। ম্যালেরিয়াতেও দেওয়া হয় কিন্তু চিরতার জ্বর কমানোর শক্তি পরীক্ষায় সম্প্রমাণিত নয়।

চিরতার ঔষধি গুণ- বাজারে চিরতার পাতলা ডালপালা বিক্রি হয়। এগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে গ্লাস বা বাটিতে পানি দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হয়। সকালে খালি পেটে ওই পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়। আমরা আজ চিরতার সেই ঔষধি উপকার বা গুণের কথা জানব- ১) দেহে ক্যানসারের জীবানু ঢুকতে বাধা দেয় এবং প্রতিরোধ গড়তে সহায়তা করে। বিশেষ করে স্তন ক্যানসার রুখতে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ২) পাকস্থলির সুস্থতায় চিরতা দারুণ কার্যকর। নিয়মিত চিরতার পানি পানে বদহজম, গ্যাস, আলসার রোধ সম্ভব। ৩) দেহের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে চিরতা সহায়তা করে। ৪) রক্তে দূষিত পদার্থ দূর করতেও চিরতা দারুণ ভূমিকা রাখে। ৫) উচ্চ রক্তচাপ কমাতে চিরতার তুলনা হয় না। ৬) হজমক্ষমতা বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে চিরতা গুণ। ৭) দেহের দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি সামর্থ বাড়িয়ে দেয়। অনিদ্রা, বিষণ্ণতা দূর করতেও চিরতার গুণ অতুলনীয়। ৮) চিরতা হৃৎপিণ্ড ও যকৃত সবলকারক হিসেবে দারুণ পরিচিত। ৯) চিরতা চোখের দৃষ্টিশক্তিকে বাড়িয়ে দিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ১০) চিরতা খেলে যেকোনো কাটা, ছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত শুকায়।

ফুলন্ত অবস্থায় পুরো গাছ তুলে শুকিয়ে নিয়ে ওষুধের কাজে ব্যবহার করা হয়। অত্যধিক তিক্ততা, জ্বর ও কৃমিনাশক শক্তি এবং পাচকতার গুণে চিরতা সারা ভারতে সুপ্রসিদ্ধ। ঔষধী গুণে, চিরতা জেণ্টিআনা কুরুর অনুরূপ। জ্বর, অতিসার এবং দুর্বলতায় চিরতা খুব উপকারী। ম্যালেরিয়াতেও দেওয়া হয় কিন্তু চিরতার জ্বর কমানোর শক্তি পরীক্ষায় সম্প্রমাণিত নয়।