শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

চিকুনগুনিয়ার মূল লক্ষণ হলো জ্বর ও অস্থিসন্ধির ব্যথা। এ সময় দেহের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। প্রায়ই ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়। তবে কাঁপুনি বা ঘাম হয় না। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালা করা, গায়ে লাল লাল র্যাশ, অবসাদ, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা হয়। এমনকি ফুলেও যেতে পারে। জ্বর সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিন থাকে। এরপর নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। তবে তীব্র অবসাদ, পেশিতে ব্যথা, অস্থিসন্ধির ব্যথা ইত্যাদি জ্বর চলে যাওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, এমনকি মাসের পর মাসও অস্থিসন্ধিতে প্রবল ব্যথা হয়। এমনকি ফুলেও যেতে পারে। এতে রোগীর সাধারণত কাজকর্ম করতে অসুবিধা হয়। রোগী ব্যথায় এতই কাতর হয় যে হাঁটতে কষ্ট হয়। সামনে বেঁকে হাঁটে। স্থানীয়ভাবে কোথাও কোথাও তাই একে ল্যাংড়া জ্বর বলা হয়। দেখা গেছে, রোগীর বয়স যত বেশি, তার রোগের তীব্রতাও তত বেশি হয় এবং উপসর্গগুলো, বিশেষ করে শরীর ব্যথাও তত বেশি দিন ধরে থাকে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সাধারণত এত দীর্ঘ সময় ধরে শরীর ব্যথা বা অন্য লক্ষণগুলো থাকে না। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মূল সমস্যা হলো শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ। এটি অনেক সময় খুব ভয়াবহ হতে পারে। কিন্তু চিকুনগুনিয়া জ্বরে ডেঙ্গুর মতো রক্তক্ষরণ হয় না এবং রক্তের প্লাটিলেট সাধারণত খুব কমে না। এই রোগে আক্রান্ত হলে কেউ মারা যায় না। শুধু দীর্ঘদিনের জন্য অনেকেই স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে চারবার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে চিকুনগুনিয়া একবার হলে সাধারণত আর হয় না।