শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

১. কখন যদি আপনার ফোনটি খোয়া যায় তবে কাল বিলম্ব না করে ল্যাপটপ, ট্যাব বা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রিকৃত সাইটে (মোবাইল লোকেট করার জন্য যেখানে একাউন্ট খুলেছেন) গিয়ে হারানো ফোনটিকে লোকেট করুন, তাতে রিং দিন, ফোনটি লক করে দিন, প্রয়োজনে তার ব্যাকাপ নিতে কিংবা ফোনের ডেটা মুছে দিতে পারেন। চোরেকে ধরে কিছু উত্তম-মধ্যমও দিতে পারেন। আমার মতে চোরকে মারা উচিৎ নয়। সে চুরি করেছে এ দোষ তার নয়, এ দোষ জাতিসত্বার, এ দোষ সরকারের, সমাজ নির্মানকারীদের যার মধ্যে আপনিও একজন। চুরি না হলেও ফোনটি যদি চিপা চাপায় কোথাও পড়ে থাকে আর আপনি তা খুঁজে পাচ্ছেন না, চিন্তার কোন কারণ নেই। ২. ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের সাহায্য নিতে নিকটস্ত থানায় একটা জিডি করুন। প্রথম দুটি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হলে অর্থাৎ পাওয়ার বাটন চেপে ধরলে যদি আপনার ফোনটি অফ হয়ে যায় বা তার ব্যাটারি খোলা যায় তবে আপনার মোবাইলটি নিরাপদ নয়। এটা চোরের হস্তগত হলে সে তা সাথে সাথেই বন্ধ করে দিতে পারবে। ফলে ফোনটি লোকেট করার কোন উপায় থাকবে না। তবুও লোকেট করার জন্য উপরে যা যা করার কথা বলেছি সবই করে রাখবেন। আপনার চোরটি বুদ্ধিমান হবেই এমনতো কথা নেই। সুতরাং ভাগ্য ভালো হলে আপনি (যদি চোর আপনার কোন সেটিং পরিবর্তন করতে না পারে) নিজেই ফোনটি লোকেট করতে পরবেন। আর যদি লোকেট করতে না পারেন তবে হারিয়ে যাওয়া ফোনটিতে নতুন সিম ডুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এন্টি-থিফ্ট লোকেটিং সার্ভিস সাইট বা এপ আপনাকে এফোনে ব্যবহৃত যে কোন সিমের নম্বর আপনাকে পাঠিয়ে দিবে। ঐ নম্বর আপনি চোর বা আপনার ফোনধারীকে ট্র্যাক করতে ব্যবহার করতে পারেন এবং পুলিশের সাহায্যে বা আপনার নিজস্ব উপায়ে আপনি তা উদ্ধার করতে পারবেন। তাও যদি না হয় অর্থাৎ সেটে ব্যবহৃত নম্বর পেলেন না তবে পুলিশই আপনার একমাত্র উপায়। তাও যদি IMEI No. ঠিকঠাক থাকে। আজকাল এটাও চেঞ্জ করা যায়। চোরের এ ধারণা থাকলে আপনি কখনো ফোনটি পাবেন না। চোর মোবাইলটি বন্ধ করে নেয় প্রথমে। তারপর কোন দোকানে নিয়ে তাকে রুটেড করে। অবশেষে মোবাইলটির IMEI No. পরিবর্তন করে তা সম্পুর্ণরূপে নিজের করে নিতে পারে। উল্যেখ্য IMEI No. পরিবর্তন সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। সুতরাং চুরিকরা মিবাইল কেনা খুবই বিপদজনক। কারো সাথে IMEI No. ডুপ্লিকেট হয়ে গেলে বিপদে পড়বেন। কারণ আপনার কাছেতো ক্রয় সম্পর্কিত কোন কাগজ পত্র থাকবে না। পাওয়ার বাটন দিয়ে ফোনটি সরাসরি (পাওয়ার মেনু ছাড়া) শাটডাউন করা গেলে মোবাইল বন্ধ করা রোধ করার কোন উপায় নেই। কোনো এপ দিয়ে তা রোধ করা যায় না। কারণ এটা হার্ডওয়ার ফাংশন। তবে অনেক মোবাইল আছে যাতে পাওয়ার বাটন চেপে সরাসরি ফোনটি বন্ধ করা যায় না। যেমন আমার Samsung ফোনটি পাওয়ার বাটন চেপে ধরে রাখলে তা বন্ধ হয় না বরং রিস্টার্ট নেয়। যদি এমন মোবাইল কেনেন যার পাওয়ার বাটনে সরাসরি বন্ধের উপায় নেই তবে ব্যাটারি খোলা যায়, সেক্ষেত্রে ব্যাককভারকে সুপারগ্লু দিয়ে লাগিয়ে দিতে পারেন। এটা চোরকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে দিবে। ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে সে তা জোর করে খোলার চেষ্টা হতে বিরত থাকতে পারে। তখন সে কোন দোকানে নিয়ে সাহায্য চাওয়ার আগেই তাকে ধরে ফেলতে পারবেন। তবে বলা বাহুল্য যে এতে আপনার মোবাইলের ওয়ারেন্টি থাকবে না। ওয়ারেন্টি না থাকলে আপনি ডেফিনেটলি এটা করবেন।