ফলিত জীববিজ্ঞানঃ জীব বিজ্ঞানের যে শাখায়, জীবের নানা তত্ত্বের প্রয়োগ, জীবকে কাজে ব্যবহার, জীবজ উপাদান সংগ্রহ, চাষ, পরিচর্যা ও উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ফলিত জীববিজ্ঞান বলে। যেমন, আখের চাষ, উৎপাদন ও সার্বিক ব্যবহার ইত্যাদি আলোচনা করে। ফলিত জীববিজ্ঞানের শাখাঃ যতই দিন যাচ্ছে ততই ফলিত জীববিজ্ঞানের শাখা প্রসারিত হচ্ছে। নতুন নতুন গবেষনা জীবদের নতুন ব্যবহারের কৌশল সৃষ্টি করছে। তা জীবদের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। নিম্নে ফলিত জীববিজ্ঞানের কিছু শাখা উল্লেখ করা হলঃ- ১। জীবাশ্মবিজ্ঞানঃ এখানে প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিবরন তাদের জীবাশ্ম, ফসিল বা দেহবাশেষ নিয়া আলোচনা ও অনুসন্ধান করা হয়। জীবাশ্ম তেল জালানী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ২। জীবপরিসংখ্যান বিদ্যাঃ এখানে জীবের নানা সংখ্যাগত হিসাব পরিসংখ্যান স্টাটিস্টিক্স আলোচনা করা হয় এবং ইহা প্রয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থা লাওভজনক কিনা বা কি পরিমান প্রয়োজন, সার প্রয়োজন ইত্যাদি আলোচনা করা হয়। ৩। পরজীবি বিদ্যাঃ নানা ধরনের পরজীবী নিয়া আলোচনা করা হয়। ৪। কীটবিদ্যাঃ ফসল চাষ, ফসলের উপর কীটপতঙ্গের প্রভাব। কীটপতঙ্গের নানা ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করে। ৫। অনুজীববিজ্ঞানঃ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াসহ সকল প্রকার অনুজীব, তাদের ক্রিয়া, রোগ, ঔষধ উৎপাদন,ইত্যাদি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করে। ৬। কৃষিবিজ্ঞানঃ ফসল চাষ, কৃষিক্ষামার, মৎস পশুপালন ইত্যাদি নিয়া আলোচনা করে থাকে। ৭। চিকিৎসা বিজ্ঞানঃ রোগ প্রতিরোধের হাতিয়ার, ঔষধ, ক্ষতিকারক পরজীবি প্রতিরোধ সহ নানা চিকিৎসা প্রযুক্তিতে ব্যবহার নিয়া আলোচনা করে। ৮। জীন প্রযুক্তিঃ রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ জীন ক্লোনিং সংকরায়ন, উন্নত জাত উদ্ভাবন, ইন্টারফেরন উৎপাদন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করে। ৯। প্রাণরসায়নঃ উদ্ভিদ প্রাণির কোষের গঠন, খাদ্য ও পুষ্টি, চাষের জন্য পুষ্টি উপাদান, জৈব পদার্থ সংগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচিত হয় এ শাখায়। ১০। পরিবেশ বিজ্ঞান ১১। সামুদ্রিক বিজ্ঞান ১২। বনবিজ্ঞান ১৩। জীবপ্রযুক্তি ১৪। ফার্মেসী ১৫। বায়োইনফরমেটিক্স , ইত্যাদি। তথ্য সূত্র