মাটি দেওয়ার সময় সাধারণ দু‘আ হিসাবে শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ বলবে।[1] এ সময় ‘মিনহা খালাক্বনা- কুম’.. দু‘আ পড়ার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। তবে কবরে লাশ রাখার সময় উক্ত দু‘আ পড়া সম্পর্কে মুসনাদে আহমাদে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা নিতান্তই যঈফ; বরং কেউ জাল বলেছেন।  ( ﺃ(ْﺖَﻌِﺿُﻭ ﺎَّﻤَﻟ َﻝﺎَﻗ َﺔَﻣﺎَﻣُﺃ ْﻰِﺑَﺃ ْﻦَﻋ ِﻪﻠﻟﺍ ِﻝْﻮُﺳَﺭ ُﺔَﻨْﺑﺍ ٍﻡْﻮُﺜْﻠُﻛ ُّﻡُﺃ  ﻰِﻓ ِﻪﻠﻟﺍ ُﻝْﻮُﺳَﺭ َﻝﺎَﻗ ِﺮْﺒَﻘْﻟﺍ  ( ﺎَﻬْﻨِﻣ ﺎَﻬْﻨِﻣَﻭ ْﻢُﻛُﺪْﻴِﻌُﻧ ﺎَﻬْﻴِﻓَﻭ ْﻢُﻛﺎَﻨْﻘَﻠَﺧ ﻯَﺮْﺧُﺃ ًﺓَﺭﺎَﺗ ْﻢُﻜُﺟِﺮْﺨُﻧ(َﻻ َّﻢُﺛ َﻝﺎَﻗ ِﻞْﻴِﺒَﺳ ْﻰِﻓَﻭ ِﻪﻠﻟﺍ ِﻢْﺴِﺑ َﻝﺎَﻗَﺃ ْﻯِﺭْﺩَﺃ َﻻ ْﻡَﺃ ِﻪﻠﻟﺍ ِﻝْﻮُﺳَﺭ ِﺔَّﻠِﻣ ﻰَﻠَﻋَﻭ ِﻪﻠﻟﺍ ..  (ক) আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর কন্যা উম্মু কুলছূমকে যখন কবরে রাখা হয়, তখন রাসূল (ছাঃ) বলেছিলেন, ‘মিনহা খালাক্বনা-কুম ওয়া ফীহা নুঈদুকুম ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা’। অতঃপর তিনি ‘বিসমিল্লা-হি ওয়া ফী সাবীলিল্লা-হি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লা-হি’ বললেন কি-না আমি জানি না।[2]  তাহক্বীক্ব : উক্ত বর্ণনা যঈফ কিংবা জাল। এর সনদে আলী ইবনু যায়েদ ইবনু জুদ‘আন ও উবায়দুল্লাহ বিন যাহর নামে দুইজন পরিত্যক্ত রাবী আছে।[3]  ( ﺏ(ُﺕْﺮَﻀَﺣ َﻝﺎَﻗ ِﺐَّﻴَﺴُﻤْﻟﺍ ِﻦْﺑ ِﺪْﻴِﻌَﺳ ْﻦَﻋ ﻰِﻓ ﺎَﻬَﻌَﺿَﻭ ﺎَّﻤَﻠَﻓ ٍﺓَﺯﺎَﻨِﺟ ْﻰِﻓ َﺮَﻤُﻋ َﻦْﺑﺍ ِﻞْﻴِﺒَﺳ ْﻰِﻓَﻭ ِﻪﻠﻟﺍ ِﻢْﺴِﺑ َﻝﺎَﻗ ِﺪْﺤَّﻠﻟﺍ ﺎَّﻤَﻠَﻓ ِﻪﻠﻟﺍ ِﻝْﻮُﺳَﺭ ِﺔَّﻠِﻣ ﻰَﻠَﻋَﻭ ِﻪﻠﻟﺍ ِﺪْﺤَّﻠﻟﺍ ﻰَﻠَﻋ ِﻦِﺒَّﻠﻟﺍ ِﺔَﻳِﻮْﺴَﺗ ْﻰِﻓ َﺬِﺧُﺃ ِﻥﺎَﻄْﻴَّﺸﻟﺍ َﻦِﻣ ﺎَﻫْﺮِﺟَﺃ َّﻢُﻬَّﻠﻟﺍ َﻝﺎَﻗ َﺽْﺭَﻷﺍ ِﻑﺎَﺟ َّﻢُﻬَّﻠﻟﺍ ِﺮْﺒَﻘْﻟﺍ ِﺏﺍَﺬَﻋ ْﻦِﻣَﻭ ﺎَﻬِّﻘَﻟَﻭ ﺎَﻬَﺣْﻭُﺭ ْﺪِّﻌَﺻَﻭ ﺎَﻬْﻴَﺒْﻨَﺟ ْﻦَﻋ ٌﺀْﻰَﺷَﺃ َﺮَﻤُﻋ َﻦْﺑﺍ ﺎَﻳ ُﺖْﻠُﻗ ﺎًﻧﺍَﻮْﺿِﺭ َﻚْﻨِﻣ ِﻪﻠﻟﺍ ِﻝْﻮُﺳَﺭ ْﻦِﻣ ُﻪَﺘْﻌِﻤَﺳ  ُﻪَﺘْﻠُﻗ ْﻡَﺃ ﻰَﻠَﻋ ٌﺭِﺩﺎَﻘَﻟ ﺍًﺫِﺇ ْﻰِّﻧِﺇ َﻝﺎَﻗ َﻚِﻳْﺃَﺮِﺑ ِﻝْﻮُﺳَﺭ ْﻦِﻣ ُﻪُﺘْﻌِﻤَﺳ ٌﺀْﻰَﺷ ْﻞَﺑ ِﻝْﻮَﻘْﻟﺍ ِﻪﻠﻟﺍ .  (খ) সাঈদ ইবনু মুসাইয়াব (রাঃ) বলেন, আমি একদা ইবনু ওমর (রাঃ)-এর সাথে এক জানাযায় উপস্থিত হয়েছিলাম। যখন জানাযাকে লাহাদে রাখা হল তখন তিনি বললেন, ‘বিসমিল্লা-হি ওয়া ফী সাবীলিল্লা-হি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লা-হি’। অতঃপর যখন লাহাদে ইট দেয়া শুরু হল তখন তিনি বললেন, ‘আল্লাহুম্মা আজিরহা মিনাশ শায়ত্ব- নির রজীম ওয়া মিন আযাবিল কবরি। আল্লা- হুম্মা জাফিল আরযা আন জানবাইহা ওয়া ছাই‘য়িদ রূহাহা ওয়া লাক্কিহা মিনকা রিযওয়ানা’। আমি বললাম, হে ইবনু ওমর (রাঃ)! আপনি কি এটা রাসূল (ছাঃ) থেকে শুনেছেন না নিজে থেকেই বললেন? তিনি বললেন, আমি কি কোন কথা বলার সাধ্য রাখি? বরং আমি এটি রাসূল (ছাঃ) -এর কাছে শুনেছি। [4]  তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি যঈফ। এর সনদে হাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান নামে প্রসিদ্ধ যঈফ রাবী আছে। [5]  জ্ঞাতব্য : প্রচলিত আছে যে, প্রথম মুষ্টিতে বলতে হবে ‘মিনহা খালাক্বনা-কুম’ দ্বিতীয় মুষ্টিতে বলতে হবে ‘ওয়া ফীহা নুঈদুকুম’ এবং তৃতীয় মুষ্টিতে বলতে হবে ‘ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা’। উক্ত দাবীর পক্ষে কোন দলীল নেই।  [1]. মুসলিম হা/৮৫২; মিশকাত হা/৪৫৬; বুখারী হা/৫৬২৩; মুসলিম হা/৫৩৬৬; মিশকাত হা/৪২৯৪।  [2]. মুসনাদে আহমাদ হা/২২২৪১।  [3]. আহমাদ ৫/২৫৪; তাক্বরীবুত তাহযীব, পৃঃ ৪০১; ডঃ আব্দুল করীম বিন আব্দুল্লাহ আল- খাযীর, আল-হাদীছুয যঈফ ওয়া হুকমুল ইহতিজাজি বিহী (রিয়াযঃ দারুল মুসলিম, ১৯৯৭/১৪১৭), পৃঃ ২৮৩-৮৪।  [4]. ইবনে মাজাহ হা/১৫৫৩, পৃঃ ১১১, ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩৮।  [5]. যঈফ ইবনে মাজাহ হা/১৫৫৩।