শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নবী (সাঃ) এর পিতা-মাতা জান্নাতে যাবে। কেননা মহান আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তিই সৎপথ অবলম্বন করে, তার সৎপথ অবলম্বন তার নিজের জন্যই কল্যাণকর হয়। আর যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হয়, তার পথভ্রষ্টতার ধ্বংসকারিতা তার ওপরই বর্তায়। কোনো বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না। আর আমি (হক ও বাতিলের পার্থক্য বুঝাবার জন্য) একজন পয়গম্বর না পাঠিয়ে দেয়া পর্যন্ত কাউকে আযাব দেই না।” (সূরা-নবী ইসরাঈল, আয়াত ১৫) . এই আয়াতের অর্থ হচ্ছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের বার্তা সম্পর্কে সচেতন না হয়, তাহলে তাদের শাস্তি দেয়া হবে না কারণ তাদের কাছে এটি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের সুযোগ নেই। . ইমাম রাজী (রহঃ) বলেন, “রাসূল (সাঃ) এর পিতা- মাতা মূলত মিল্লাতে ইবরাহীমের উপর ইন্তেকাল করেছেন। কেননা তারা মূর্তি পূজা করেছেন মর্মে কোনো প্রমাণ নেই। তাই তারা জান্নাতী হবেন। তাদের নামও প্রমাণ করে তারা মুশরিক ছিলেন না।” . ইমাম রাজী (রহঃ) আরও বলেন, “যারা জাহান্নামী হবার দাবি করেন। তাদের দলীল হলো মুসলিম, আবু দাউদ ও মুসনাদে আহমাদের হাদিস। যাতে নবীজী (সাঃ) এর পিতা-মাতার জন্য নবীজী (সাঃ) কে দোআ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ হাদিসের জবাব হলো, এটি রাসূল (সাঃ) বলেছেন তার পিতা-মাতার আসল অবস্থা সম্পর্কে তখন তিনি জানতেন না, তাই বলেছেন। আসলে তারা জান্নাতী।” (রদ্দুল মুহতার, মুরতাদ অধ্যায়-৪/২৩১) . আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতী (রহঃ) এ বিষয়ে আলাদা ৪টি পুস্তিকা লিখেছেন। ৯টি প্রবন্ধ লিখেছেন। যাতে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, রাসূল (সাঃ) এর পিতা-মাতা জান্নাতী। জাহান্নামী নয়। .

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ