শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সমুদ্রের জলে লবণ আসে ভূপষ্ঠের শিলা থেকে। বাতাসে মিশে থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইড বৃষ্টির পানিতেও থাকে। ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানির সংমিশ্রণে তৈরি হয় কার্বনিক এসিড। এই কার্বনিক এসিডের কারণে বৃষ্টির পানি সামান্য এসিডিক হয়। এই বৃষ্টি যখন ভূ-শিলার ওপর পড়ে তখন শিলা ক্ষয় হয়। তেমনি বৃষ্টির পানি শিলা ভেঙেও ফেলে। এ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় আয়ন। শিলার আয়ন বৃষ্টির পানি ও নদীর স্রোতে ধুয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। দ্রবীভূত আয়নের একটা বড় অংশ আবার অর্গানিজম দ্বারা ব্যবহৃত ও অপসারিত হয়। আর বাকি আয়ন দীর্ঘদিন ধরে জমা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর ঘনত্ব বাড়ে।সমুদ্রের জলে সবচেয়ে বেশি থাকে ক্লোরাইড আর সোডিয়াম। এ দুটো আবার একসঙ্গে ৯০ শতাংশের বেশি আয়ন তৈরি করে। বলাই বাহুল্য, সোডিয়াম ও ক্লোরাইড স্বাদে লবণাক্ত। হিসেব করে দেখা যায়, এক ঘন মাইল সমুদ্রজলে লবণের (সোডিয়াম ক্লোরাইড) মাত্রা থাকে একশো ২০ মিলিয়ন টন। ধারণা পেতে বলা যায়, পৃথিবীর সমুদ্র থেকে সব লবণ যদি তুলে জমা করা যেতো, তবে সে লবণ স্তুপের উচ্চতা হতো পাঁচশো ফুট! যা ৪০ তলা একটি অফিস বিল্ডিংয়ের সমান। তাহলে বোঝো, সমুদ্রের জল কেন এত লবণাক্ত হয়!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সমুদ্রের পানিতে মিশে থাকা লবণের কারণে সমুদ্রের পানি লোনা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সেই আদিকাল থেকে ডাঙার ওপর থেকে পানি গড়িয়ে হয়ে ডাঙার পরিমাণ বাড়ছে আর সমুদ্রের আয়তন যাচ্ছে কমে। ডাঙার মাটি-পাথরে যা যা আছে, পলির সঙ্গে এসে পড়ছে সমুদ্রের পানিতে। তার সঙ্গে এসে পড়ছে প্রচুর লবণ। তাই সমুদ্রের পানি এত লোনা যে তা খাওয়াই যায় না। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ