প্রথমত,আমি ক্লিয়ারলি বলে দিচ্ছি গেম খেলা কোনোভাবেই খারাপ নয়। তাই আমি গেম খেলার একদমই বিরোধী নয়। প্রশ্ন ১ঃসাইকোলজিক্যাল কোনো বিষয় আছে কিনা। -হ্যা,গেমস/সোসাল সাইট ইত্যাদি তৈরি করার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাইকোলজিস্ট হায়ার করা হয়।যারা আপনার ব্রেইনের জেনারেল এলগরিদম ইউজ করে আপনাকে গেমের বা ওই সাইটের প্রতি আসক্ত করে।কারন আপনাকে যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাইটে/গেমে রাখতে পারবে,ততই তাদের আয় হবে।আপনি গোল্লায় যাচ্ছেন কি না যাচ্ছেন তাতে তাদের কিচ্ছু যায় আসেনা। মার্ক জাকারবার্গের কিন্তু সাইকোলজিতেও ডিগ্রি আছে,ফলাফল আর না বলি। প্রশ্ন ২ঃএই আসক্তির শেষ কোথায়। -প্রথমত আসক্তি দূরীকরণ মন্ত্র হচ্ছে ম্যাচুরিটি।আর ম্যাচুরিটি হচ্ছে আপনি কোনো একটা আনকমফোর্টেবল সিচুয়েশনে কতটুকু সেল্ফ কনট্রোল রাখেন।গেমটির সাপেক্ষে বললে,(গেমটি যতই খেলতে ইচ্ছা হোক, এই সিচুয়েশনে আপনি নিজেকে কতোটা কনট্রোল করতে পারতেছেন এটাই আপনার এই গেমের উপরে ম্যাচুরিটি)  এই ব্যাপারটা বুঝতে দুইটা সিনারিও নেয়া যাক, সিনারিও ১ঃএকজন টিনেজার(15+) যে পাবজি আসক্ত সিনারিও ২ঃএকজন যুবক(25+) যে পাবজি আসক্ত। এখন আপনি এই দুইজনকেই যদি নিজে থেকে পাবজি ছেড়ে দিতে বলেন,তাহলে দেখা যাবে যে, ১৫ বছরের টিনেজারের চেয়ে ২৫ বছরের যুবকের গেমটি ছেড়ে দেয়ার পসিবলিটি অনেক বেশি।কারন কী?-পুরুষরা স্বাভাবিক ভাবে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে মোটামুটি মেন্টালি ম্যাচিউরড হয়ে যায়।তাই তার সেল্ফ কনট্রোলও স্বাভাবিক ভাবেই বেশি। তবে টিনেজারদের ক্ষেত্রে সলিউশন কী?-এখানে আসবে ফোর্সফুল ডিএসোসিয়েশন,আর স্ট্রিক্ট প্যারেন্টিং।টিনেজাররা এখনো ম্যাচিউরড না,তাই এক্ষেত্রে তাদের বাবা মায়ের খুব বড় দায়িত্ব হচ্ছে ছেলে/মেয়েকে দরকার পরলে জোর করে ইভেন ফিজিক্যালি মারার দরকার পরলে সেটার মাধ্যমে হলেও তাদের ব্যাড হ্যাবিট থেকে আলাদা করতে হবে।আলাদা করা মানে এটা না যে একেবারে গেম থেকে দূরে রাখতে হবে।তবে কনট্রোলড পর্যায়ে রাখতে হবে।গেমকে রিওয়ার্ড হিসেবে দেয়া যেতে পারে।যেমন ডেইলি পড়ালেখা,হোমওয়ার্ক কমপ্লিট করলে তখন দুই ঘন্টা গেম খেলতে দেয়া হবে। অনেক টিনেজারের আবার স্ট্রিক্ট গার্ডিয়ান থাকেনা,তাদের জন্য উপদেশ হচ্ছেঃগেমকে রিওয়ার্ড হিসেবে ব্যাবহার করো,সারাদিনের টাস্ক কমপ্লিট হলেই তখন গেম খেলতে পাবে।এইরকম কিছুকিন্তু যদি এতকিছুর পরেও কনট্রোল না থাকে,সোজা ডিলিট দিয়ে দিও।এইসব কনট্রোল ফনট্রোল তোমার দ্বারা হবেনা। C: thomas