শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে গ্লিসারিন অনেক বেশি কার্যকর। কারণ লোশনের কার্যকারিতা খুব দ্রুত শেষ হয়। তাই এটি বারবার ব্যবহার করার একটি ঝামেলা থেকেই যায়। সে ক্ষেত্রে ত্বকে দিনে দু’বার গ্লিসারিন মাখলেই যথেষ্ট। জেনে নিন ত্বকের যত্নে গ্লিসারিনের কিছু উপকারিতা।  ময়েশ্চারাইজার : গ্লিসারিন ত্বকের যত্নে খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের জন্য এটা খুবই কার্যকরী। গ্লিসারিন সরাসরি বা অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়েও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। একটা তুলো গ্লিসারিনে ডুবিয়ে সেটা ত্বকের ওপর লাগান। গ্লিসারিনের কিছু ওষুধের মতো গুণ আছে যা চট করে শুকনো, রুক্ষ ও খসখসে ত্বক সারাতে সক্ষম। গ্লিসারিনের এই গুণের জন্যই ত্বক মোলায়েম ও নরম থাকে।  ক্লিনজার : গ্লিসারিন খুব ভালো ক্লিনজারের কাজ করে। রাতে শোয়ার আগে গোলাপজলে গ্লিসারিন মেশিয়ে ভালো করে সেটা দিয়ে মুখ মুছে নিতে পারেন। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে বন্ধ কোষগুলো খুলে যাবে এবং এর ফলে ত্বকের ব্রণের সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।  পুষ্টি জোগায় : ত্বকের পুষ্টি জোগাতে গ্লিসারিন খুবই কার্যকরী। তাই যে কোনো প্রসাধনীতে গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়। গ্লিসারিন ত্বকে পানির মাত্রা বা আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে ত্বক সুস্থ থাকে। আপনি চাইলে গ্লিসারিনকে পুষ্টিদাতা হিসেবে আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারের ময়েশ্চারাইজার, মুখের প্যাক বা মাস্কে সঙ্গেও ব্যবহার করতে পারেন। গ্লিসারিন ত্বকের পুষ্টি জুগিয়ে ত্বক রাখে নরম।  ত্বকের যত্নে : ত্বকের যত্নে গ্লিসারিনকে ওষুধ ও ক্রিম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। গ্লিসারিন রুক্ষ ত্বকে এনে দেয় কোমলতা। অনেক সময় ঠাণ্ডার জন্য বা অন্য কারণে ত্বকের ওপরটা খসখসে হয়ে উঠতে শুরু করে। এই সময় গ্লিসারিন ব্যবহার করে দূর করতে পারেন ত্বকের এ খসখসে ভাব। এছাড়াও চর্ম রোগ সারাতেও বেশিরভাগ ওষুধেই গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।  ত্বকের দাগ দূর করতে : গ্লিসারিন ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্লিসারিন ব্যবহার করতে হয়। ত্বকের যেখানে দাগ আছে সেখানে ভালো করে গ্লিসারিন মাখতে হবে। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে মুখের দাগগুলো মুছে যাবে এবং ত্বক হয়ে যাবে আরো উজ্জ্বল।