শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আব্দুল্লাহ ইবনে বসুর রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,বিশ্বযুদ্ধ ও কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের মধ্যে ছয় বছরের ব্যবধান হবে এবং সপ্তম বছরে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে। (আবু দাউদ,মেশকাত) যেহেতু ইমাম মাহদী আ.এর নেতৃত্বেই মহাযুদ্ধ ও কনস্টান্টিনোপল বিজিত হবে,সেহেতু ইমাম মাহদী আ. যদি মহাযুদ্ধ শুরুর পর আবির্ভূত হন তাহলে তার আগমনের সর্বোচ্চ ৭ বছরের মাথায় দাজ্জাল আসবে। অর্থাৎ ২০৮৯ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ২০৯৬ খ্রীষ্টাব্দ এর মধ্যে। অপর হাদীসে এর জবাব দেয়া হয়েছে ৪০ বছর। যেমন হযরত ইয়াকুব ইবনে আসিম রাহ. বলেন,আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা)-কে বলতে সুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, আমার উম্মতের মাঝে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে। সে ৪০ বছর অবস্থান করবে। (রাবী বলেন) আমি জানিনা, ৪০দিন, নাকি৪০মাস, নাকি ৪০বছর? (সহীহ মুসলীম) কাজেই হাদীসে একথা পরিষ্কার নেই যে, দাজ্জাল কতোদিন অবস্থান করবে। অন্য হাদীসে আছে, হযরত নাওয়াস ইবনে সামআন রা. বর্ণনা করেন,রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,দাজ্জাল পৃথিবীতে ৪০ দিন অবস্থান করবে,যার ১দিন হবে ১বছরের সমান, আরেকদিন হবে ১মাসের সমান, আরেকদিন হবে ১সপ্তাহের সমান। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ) এই হাদীসে যা বলা হয়েছে বাস্তবে যদি পৃথিবী সূর্যের পরিক্রমণে এমন দীর্ঘ দিনের সৃষ্টি না হয়,তবে এখান থেকে অনেকেই হিসেব বের করেছেন যে, দাজ্জাল পৃথিবিতে মোট ১ বছর ২মাস ১৪ দিন অবস্থান করবে। (হিসাব, ১=১বছর, ১দিন=৩০দিন, ১দিন=৭দিন, বাকী থাকে ৪০-৩=৩৭দিন অর্থাৎ মোট ১বছর ২মাস ১৪দিন) তবে এটা ধারণা মাত্র। অন্য হাদীসে হযরত আসমা বিনতে ইয়াযিদ (রা) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সা. বলেছেন, দাজ্জাল জমিনে ৪০ বছর অবস্থান করবে। যার একবছর হবে একমাসের মতো, এক মাস হবে এক সপ্তাহের মতো, একসপ্তাহ হবে এক দিনের মতো এবং এক দিন হবে খেজুরের একটি শুকনা ডাল আগুনে পুড়ে নিঃশেস হবার সময়ের মতো। (শরহে সুন্নাহ, মেশকাত) এই হাদীস থেকে পৃথিবীতে দাজ্জালের ফিতনা ও বিপর্যয়ের কারণে অথবা তার যাদুর দ্বারা সামান্য সময়ও অনেক দীর্ঘ অনুভূত হবে, আবার দীর্ঘ সময়ও অনেক অল্প মনে হবে---- হাদীস দ্বারা এতোটুকুই অনুমিত হয়। প্রকৃতপক্ষে দাজ্জাল কতোদিন অবস্থান করবে তা হাদীসের এইসব বর্ণনা থেকে সরাসরি হিসেব করে আমরা পাচ্ছি না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ