শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

প্রাকৃতিকভাবে পাকা প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যউপযোগী জামে আছে -  ৬০ কিলো ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেটস ১৫.৬ গ্রাম, ফ্যাট .২৩ গ্রাম, আমিষ .৭২ গ্রাম, জলীয় অংশ ৮৩.১৩ গ্রাম, ভিটামিন এ ৩ আইইউ, ভিটামিন সি ১৪.৩ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৯ মিলিগ্রাম, লৌহ .১৯ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৯ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১৪ মিলিগ্রাম।  এসব উপাদান আপনার শরীরকে সুরক্ষা দেয় নানা রোগ থেকে। উপরন্তু রোগপ্রতিরোধে শক্তিশালী করে তোলে।  জামের উপাদান সমুহের উপকারিতা  - জাম ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।  - প্রতি মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে জাম খেলে ৩০% পর্যন্ত রক্তে চিনিরপরিমাণ কমিয়ে আনে।  - লিভারকে ক্ষতির হাত ধেকে রক্ষা করতে জাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  - জামে পর্যাপ্ত পরিমাণে বেগুণী রঞ্জকের উপস্থিতি থাকায় মানব দেহে ক্যানসার প্রতিরোধে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  - ভিটামিন ‘সি’ গরমে ঠান্ডাজনিত জ্বর, কাশি ও টনসিল ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। দূর করে জ্বর জ্বর ভাব। আর দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতেও এর অবদান অপরিসীম।  - জামের ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তিকে করে শক্তিশালী।  - বৃদ্ধ বয়সে চোখের অঙ্গ ও স্নায়ুগুলোকে কর্মময় করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশুদের জন্যও এই ফল ভীষণ উপকারী।  - জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি।  - বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষ ততই হারাতে থাকে স্মৃতিশক্তি। জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে।  - উচ্চ রক্তচাপ বা হাইব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ভীষণ উপকারী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে জাম।  - দীর্ঘ দিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মলদ্বারে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জামের বাইরের আবরণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। আঁশজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। জাম মলদ্বার বা কোলনের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ