শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ভেজাল মধু চেনার ৭ সহজ উপায় খাটি মধু চেনার উপায়। ছবি: সংগৃহীত মধুকে সর্বরোগের মহৌষধ বলা হয়ে থাকে। নিয়মিত মধু খেলে বহু রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর রয়েছে একাধিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। আর শীতে মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। শরীরের উষ্ণতা বাড়াতে সহায়তা করে। তবে মধু খাঁটি হতে হবে। না হয় উল্টো অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে-কি করে জানবেন যে মধু আপনি খাচ্ছেন, সেটি খাঁটি কিনা? এখন বাজারে নানান রঙের মোড়কে মধু পাওয়া যায়। সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নাম দিয়ে ভেজাল, রাসায়নিকযুক্ত উপাদান বিক্রি করাও এখন খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা। শুধু তাই নয়, অনেক নামি সংস্থার প্রক্রিয়াজাত মধুতেও মেলে ভেজাল। আসুন- জেনে নেয়া যাক খাঁটি মধু চিনে নেয়ার কয়েকটি সহজ উপায়। ১. মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনো ঝাঁজালো ভাব থাকবে না। ২. মধুতে কখনও কটু গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়। ৩. এক টুকরো ব্লটিং পেপার নিন, তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। যদি কাগজ তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়। ৪. শীতের দিনে বা ঠাণ্ডায় খাঁটি মধু দানাবেঁধে যায়। ৫. একটি মোমবাতি নিয়ে সেটির সলতেটি ভালোভাবে মধুতে ডুবিয়ে নিন। এবার আগুন দিয়ে জ্বালানোর চেষ্টা করুন। যদি জ্বলে ওঠে, তা হলে বুঝবেন যে মধু খাঁটি। আর যদি না জ্বলে, বুঝবেন যে মধুতে জল মেশানো আছে। ৬. বেশ কিছু দিন ঘরে রেখে দিলে মধুতে চিনি জমতেই পারে। কিন্তু যদি বয়ামসহ মধু গরম জলে কিছুক্ষণ রেখে দেখুন। এই চিনি গলে মধু আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু নকল মধুর ক্ষেত্রে এটি হবে না। ৭. গ্লাসে বা বাটিতে খানিকটা পানি নিন। তার মধ্যে এক চামচ মধু দিন। যদি মধু জলের সঙ্গে সহজেই মিশে যায়, তা হলে বুঝবেন যে এটা অবশ্যই নকল। আসল মধুর ঘনত্ব জলের চাইতে অনেক বেশি, তাই তা সহজে মিশবে না। এমনকি নাড়া না দিলেও মধু জলে মিশবে না। সূত্র : জিনিউজ।