শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

গুড গভর্নেন্স হচ্ছে দেশের সুশাসন।  সুশাসন বা গুড গভর্নেন্স মূলত একটি পশ্চিমা অভিধা। দেশে সুশাসন ও সুশীল সমাজ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক অনেক ধারণাই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো এবং তাদের পলিসি এজেন্ডা থেকে উদ্ভূত। দাতা সংস্থাগুলো প্রায়ই সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার শর্ত জুড়ে দেয় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। আসলে সুশাসনের কোনো সুনির্দিষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা নেই।  সুশাসন মানে ভালোভাবে দেশ পরিচালনা- বিষয়টিকে এভাবে সরলীকরণ করা যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন থেকে যায়, ভালোভাবে দেশ পরিচালনা বলতে ঠিক কী বোঝায়? সাধারণভাবে কয়েকটি বিষয়কে সুশাসনের মানদণ্ড হিসেবে ধরা যেতে পারে, যেমন- মানবাধিকার ও আইনের শাসন, দেশ পরিচালনার বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রক্রিয়া, বহুমুখী অংশীদারিত্ব, রাজনীতিতে নানা মতের চর্চা, একটি দক্ষ ও কার্যকর সরকারি খাত, শিক্ষা, তথ্য ও অন্যান্য জ্ঞান আহরণের সুযোগ, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সমতা ও ন্যায়বিচার, দায়িত্বশীলতা, ঐক্য ও সহনশীলতা উৎসাহিত হয় এমন আচরণ ও মূল্যবোধ ইত্যাদি।  জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ভূতপূর্ব কমিশন ইউএনসিএইচআরের ২০০০/৬৪ নং প্রস্তাবে সুশাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হল স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা, অংশগ্রহণ ও সাড়া প্রদান (জনগণের চাহিদার প্রতি)। এ প্রস্তাবে সুশাসনকে টেকসই মানব উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। মানবাধিকার ভোগ করা এবং টেকসই মানব উন্নয়নের সহায়ক একটি অনুকূল পরিবেশের সঙ্গে সুশাসনকে স্পষ্টভাবে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে।  এতে আরও উল্লেখ রয়েছে : সুশাসন ও মানবাধিকারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে চারটি ক্ষেত্রে- গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো, রাষ্ট্র কর্তৃক জনগণকে সেবা প্রদান, আইনের শাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ।  সুশাসন বলতে আমরা যদি ওপরে উল্লিখিত বিষয়গুলোকে ধরে নিই তাহলে মানতেই হয়, সুশাসন ছাড়া গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয়। এ বিবেচনায় সুশাসনের পূর্বশর্ত হল সমাজে গণতন্ত্রায়নের জন্য সব ধরনের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি। দেশে এ ধরনের সব প্রতিষ্ঠান আছে কি-না, থাকলে সেগুলো কতটা কার্যকর, তা খতিয়ে দেখা দরকার। দুর্ভাগ্যজনক, সুশাসন যে সরকারের জন্যও মঙ্গলজনক, এটি এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো সরকারই বুঝতে চায়নি। যতদিন সরকার এটি অনুধাবন না করবে, ততদিন দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সুশাসন বা গুড গভর্নেন্স মূলত একটি পশ্চিমা অভিধা। দেশে সুশাসন ও সুশীল সমাজ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক অনেক ধারণাই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো এবং তাদের পলিসি এজেন্ডা থেকে উদ্ভূত। দাতা সংস্থাগুলো প্রায়ই সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার শর্ত জুড়ে দেয় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। আসলে সুশাসনের কোনো সুনির্দিষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা নেই। সুশাসন মানে ভালোভাবে দেশ পরিচালনা- বিষয়টিকে এভাবে সরলীকরণ করা যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন থেকে যায়, ভালোভাবে দেশ পরিচালনা বলতে ঠিক কী বোঝায়? সাধারণভাবে কয়েকটি বিষয়কে সুশাসনের মানদণ্ড হিসেবে ধরা যেতে পারে, যেমন- মানবাধিকার ও আইনের শাসন, দেশ পরিচালনার বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রক্রিয়া, বহুমুখী অংশীদারিত্ব, রাজনীতিতে নানা মতের চর্চা, একটি দক্ষ ও কার্যকর সরকারি খাত, শিক্ষা, তথ্য ও অন্যান্য জ্ঞান আহরণের সুযোগ, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সমতা ও ন্যায়বিচার, দায়িত্বশীলতা, ঐক্য ও সহনশীলতা উৎসাহিত হয় এমন আচরণ ও মূল্যবোধ ইত্যাদি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ