এই সময়ের জনপ্রিয় কয়েকটি হেয়ার স্টাইল থাকছে এই প্রতিবেদনে। শর্ট কাট : এই স্টাইল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কিশোর ও তরুণদের কাছে। সব দিকের চুলই ছোট করে কেটে হেয়ার জেল দিয়ে স্টাইল করা যায়। ফলে এটিই এখন জনপ্রিয় কাট। একে অনেকে কক কাট বলে, আবার দেশের বাইরে এটা আন্ডার কাট নামে পরিচিত। ক্ল্যাসিক কাট : চুলের কাটে এটি পুরনো স্টাইল। কাজের ক্ষেত্রে ফরমাল পোশাকের সাথে এটি সবচেয়ে ভালো স্টাইল। এই স্টাইলে চুলের একদিকে সিঁথি করে আচড়ানো হয়। মাঝবয়সী ছেলেদের এই স্টাইল চেহারায় মার্জিত একটা লুক এনে দেবে ফেড কাট : এই স্টাইলে পেছনে ও কানের ওপরে চুল একদম থাকেই না বলা চলে। কানের কমপক্ষে এক ইঞ্চি ওপর থেকে আর পেছনে মাথার অর্ধেক ওপর থেকে কাটা শুরু হয়। ক্রু কাট : মাথার পেছনের দিকে ও পাশের চুলগুলো ট্রিম করে কাটা হয়। আর সেখান থেকে ওপরের দিকে ক্রমান্বয়ে চুল বড় ও কিছুটা খাড়া থাকে। এই স্টাইলটাও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাজ কাট : যারা খুব খেলা প্রিয়, এই স্টাইল তাদের কাছে পরিচিত। খেলোয়াড় ও সৈনিকদের মধ্যে এই স্টাইল বেশি জনপ্রিয়। এই কাটে চুল ট্রিমার মেশিনে কাটা হয়। চুলের দৈর্ঘ্য থাকে এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ। গোসলের পরেও এই চুল আঁচড়ানোর দরকার পড়ে না। লেয়ার স্পাইক : চুলের নানা ধরনের কাটের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় লেয়ার স্পাইক। এই স্টাইলের বিশেষত্ব হলো, কপালের ওপরের চুল ছোট করে স্পাইক রাখা। মাথার ওপরের দিকের চুল তুলনামূলক বড় হবে। অর্থাৎ সামনের চুল খুব ছোটও না আবার খুব বড়ও না। তবে পেছনের দিকে লেয়ার স্টাইল থাকতেহ হবে।  ইমো সুইপ : স্টাইলটি সাধারণত কমবয়সী ক্যাজুয়ালের জন্য বেস্ট। এ জন্য মাঝারি লম্বা চুল থাকা প্রয়োজন। ইমো স্টাইলটির বিশেষত্ব হলো চুলের ছাঁট সম্পূর্ণ এলেমেলো করে রাখা। তবে সামনের চুল কিছুটা বড় থাকবে। আর মাথার পেছনের চুল স্পাইক স্টাইলে ছোট করে রাখতে হয়। সামনে এবং কানের পাশের বড় চুলগুলো পুরো মুখটিকে ঢেকে দেয়। মূলত এটিই হলো ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের ইমো সুইপ স্টাইল। লম্বা চুলের স্টাইল : ঘন লম্বা চুল অনেকেরই পছন্দ। মাথার চুল লম্বা হলে দুই কাঁধের ওপর ছড়িয়ে নানা আঙ্গিকে বহু স্টাইল করতে পারবেন অনায়াসেই। এই চুলে সাধারণত বিভিন্নভাবে স্টাইল করে রাখা যায়। চুল সোজা কিংবা কোঁকড়ানো যা-ই হোক না কেন, ফ্যাশনে কিন্তু ভিন্নতা এনে দেয় লম্বা চুল। লম্বা চুলে পনিটেল করে রাখলেও মানায়। আবার কিছুটা চুল খোলা রেখে অল্প চুল নিয়ে এলোমেলো ঝুটিও করা যায়। কাটিং খরচ : ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় কাটাতে পারবেন এ ধরনের যেকোনো স্টাইলের চুল। কালারের জন্য আপনাকে গুনতে হবে এক হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।