আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন যে, আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন সাত আকাশ এবং অনুরূপ পৃথিবীও, তাদের মাঝে আল্লাহর হুকুম অবতীর্ণ হতে থাকে, যাতে তোমরা জানতে পার আল্লাহ সর্ব বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখেন... (সূরা তালাক আয়াত-১২) আল্লাহ আরো বলেন তার অন্যতম নিদর্শন হল আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃজন। এবং সেই সকল জীব জন্ত যা তিনি এ দুয়ের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা তখনই এদেরকে সমবেত করতে সক্ষম (সূরা শূরা আয়াত- ২৯) এই আয়াতদ্বয় থেকে স্পষ্ট প্রমানিত হয় যে, পৃথিবীর বাহিরেও প্রাণের অস্তীত্ব আছে। তবে তা কি এলিয়েন নাকি অন্য কিছু? তা আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।
আল্লাহ হলেন তিনি, যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন অসংখ্য আকাশ আর অনুরূপ সংখ্যক পৃথিবী। উহাদের উপরও আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়; (এ তথ্যটি) এই জন্য যে তোমরা যেন অবগত হও, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও সর্বাজ্ঞ ” ( ৬৫:১২, আল কুরআন) কুরআনের আরো অনেক আয়াতে ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে যে- শুধু আমাদের এই পৃথিবীই নয়, অন্য কোন অজানা প্রান্তেও রয়েছে আল্লাহর সৃষ্টি জীব। ৬৫ নং সূরার উল্লিখিত ১২ নং আয়াত আমাদেরকে যে ধারনা দান করে তাহলো- “ভিন গ্রহের প্রাণীরা আমাদের মতই বুদ্ধিমান এবং গঠন গত দিক থেকে আমাদের মতই উন্নত। (হতে পারে আমাদের থকেও বেশি)। কারণ তাদের উপর যেহেতু আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়, সেহেতু তাদেরকে অবশ্যই বুদ্ধিমান হতে হবে। তাদের থাকবে জ্ঞান, থাকবে পড়ার ও লিখার ক্ষমতা। যদি পড়ার ও লিখার ক্ষমতা থাকে, তাহলে তাদের মস্তিষ্ক হতে হবে বড় এবং থাকতে হবে নূন্যতম আমাদের হাতের মত গঠন, যা কলম ধরতে সহায়ক। কিন্তু এলিয়েনের গঠনগত বিজ্ঞানের ধারনা গুলো অনেক বৈচিত্র পূর্ণ, যা শুধু কল্পনা মাত্র।