শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনের প্রাথমিক প্রতিরোধে তৎকালীন ইষ্ট পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রয়েছে অনন্য সাধারণ নেতৃত্বের ভূমিকা। মার্চের উত্তাল দিনগুলোতে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪ পদাতিক ডিভিশনের অবস্থান ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। এ ডিভিশনের ব্রিগেডসমূহের অধীনে ৫টি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তখন পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত ছিল। যার মধ্যে ১ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যশোর সেনানিবাসে, ২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট জয়দেবপুর রাজবাড়িতে, ৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সৈয়দপুর সেনানিবাসে, ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কুমিলা সেনানিবাসে এবং ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় অবস্থান করছিল। অপারেশন সার্চ লাইটের গুপ্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঙালিদের ওপর আক্রমণ হলে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টসমূহ সংঘবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে এ আশঙ্কায় নানা অজুহাতে মার্চের শুরু থেকেই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টসমূহকে সেনানিবাসের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দেশব্যাপী নির্বিচারে গণহত্যা শুরু হলে বাঙালি সেনা সদস্যগণ স্থানীয় জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংস্পর্শে এসে যে যেখানে ছিল সেখান থেকেই সাধারণ জনতাকে নিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বাঙালি সেনাদের প্রতিরোধের বিষয়ে যথার্থই বলা হয়েছে যে এই পর্যায়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি সদস্যগণ যদি প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করতেন তবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ভিন্ন হতো। বাঙালি সেনাদের এ বিদ্রোহ ছিল স্বপ্রণোদিত ও স্বতঃস্ফূর্ত। যুদ্ধের প্রথমদিকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালি ব্যাটালিয়ন, ইপিআর, পুলিশ, আনসার এবং মুজাহিদদের মধ্যে কোনো সমন্বয় না থাকলেও ধীরে ধীরে এ সমস্ত বাহিনী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নিজেদের মধ্যে এই যোগাযোগ রক্ষায় সেনা সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিদ্রঃ আরো বিস্তারিত জানতে এই লিংকে যান (http://www.afd.gov.bd/milff/army.html)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ