মৃত্তিকা ক্ষয় কাকে বলে?

বায়ু বা পানি প্রবাহের ফলে মাটির উপরের স্তর সরে যাওয়াকে মাটি ক্ষয় বলে ।

রাশিয়ান বিজ্ঞানী Dokuchaev-কে মৃত্তিকা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

পৃথিবীপৃষ্ঠের কোন অংশ হঠাৎ পৃথিবীর অভিকর্ষের টানে ঘর্ষণ জনিত বাধা অতিক্রম করে ঢাল বরাবর ধীরে অথবা দ্রুতগতিতে নেমে আসলে , তাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে ।

প্রতিটি আঞ্চলিক মৃত্তিকা বলয়ের স্থানীয়ভাবে ভূপ্রকৃতি, আদি শিলা ও অনু-জলবায়ুর তারতম্যে নতুন ধরনের মাটি সৃষ্টি হয় তাকে আন্ত:আঞ্চলিক মাটি বলে।  

নদী, বায়ুপ্রবাহ, হিমবাহ ও সমুদ্র তরঙ্গ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা বাহিত রেগোলিথ অন্যত্র সঞ্চিত হয়ে স্তরহীন, অপরিণত, অগভীর যে মৃত্তিকা সৃষ্টি হয় তাকে অ-আঞ্চলিক মৃত্তিকা বলে।

মাটিতে মুক্ত বা সক্রিয় হাইড্রোজেনের তুলনায় সক্রিয় হাইড্রোক্সিল আয়নের মাত্রা বেশি (Ph -7 এর বেশি) হলে তাকে ক্ষারকীয় বা পেডোক্যাল মৃত্তিকা বলা হয়।

মাটিতে মুক্ত বা সক্রিয় হাইড্রোজেনের তুলনায় সক্রিয় হাইড্রোক্সিল আয়নের মাত্রা কম (Ph -7 এর কম) হলে তাকে আম্লিক বা পেডালফার মৃত্তিকা বলা হয়।

ঢালু জমি বা শুষ্ক অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের তীব্র জলস্রোত নালি সৃষ্টি করে যে ক্ষয় করে, তাকে নালি ক্ষয়  হয় বলে।  

নালি ক্রমশ প্রশস্ত ও গভীর হয়ে খাতে পরিণত হয়ে যে প্রবল ক্ষয় হয় তাকে খাত ক্ষয় বলা হয়।

যে পদ্ধতিতে মৃত্তিকার ক্ষয় রােধ করে মৃত্তিকার উর্বরতা শক্তি ও কার্যকারিতা শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং মৃত্তিকা সম্পদকে মানুষের কল্যাণে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির সাহায্যে সুপরিকল্পিত ভাবে ব্যবহার করা হয় এবং অপব্যবহার ও...