শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পারমাণবিক ভর আর ভর সংখ্যা এক জিনিস নয়, যদিও রাশি দুইটির মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে তাদের মান একই হতে পারে। একটি পরমাণুতে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফলকে ঐ পরমাণুর ভর সংখ্যা বলে। যেমন - অ্যালুমিনিয়াম পরমাণুতে প্রোটন আছে ১৩টি আর নিউট্রন আছে ১৪টি। তাই এর ভর সংখ্যা ১৩ + ১৪ = ২৭. এটিকে ভর সংখ্যা বলবার কারণ হলো এটি থেকে পরমাণুর ভর সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। কারণ পরমাণুর ভর কত হবে সেটি ঐ পরমাণুর নিউক্লিয়াসে থাকা প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার উপর নির্ভর করে। ইলেকট্রনের ভর এদের তুলনায় নগণ্য বিধায় তাকে হিসেবের মধ্যে রাখা হয় না। খেয়াল করলে দেখা যায়, অ্যালুমিনিয়াম এর ভর সংখ্যা ২৭ আর পারমাণবিক ভর ২৬.৯৮। মান দুইটি খুবই কাছাকাছি। তাই অনেকেই পারনাণবিক ভর আর ভর সংখ্যা এক বলে ভুল করে থাকে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেঝা যাবে পারমাণবিক ভর এর মান পূর্ণ সংখ্যা হবার সম্ভাবনা কম কিন্তু ভর সংখ্যা সর্বদাই পূর্ণসংখ্যা (পরমাণুতে ভগ্নাংশ সংখ্যক প্রোটন ও নিউট্রন পাওয়া যায় না।) আবার, যদি কোনো পরমাণুর একাধিক আইসোটোপ থাকে, সেক্ষেত্রে ভর সংখ্যা আর পারমাণবিক ভরের মধ্যে পার্থক্য আরও লক্ষণীয়। যেমন - ক্লোরিনের পারমাণবিক ভর ৩৫.৫। কারণ, প্রকৃতিতে ১০০ টি ক্লোরিন পরমাণুর মধ্যে ৭৫ টির ভর ৩৫ আর বাকি ২৫ টির ভর ৩৭। সে হিসেব করলে এর পারমাণবিক ভর আসে।৩৫×০.৭৫+৩

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ