শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এক. কোরআনের আয়াত-লিখিত বা ক্যালিগ্রাফি করা ওয়ালম্যাট বা শোপিস ব্যবহার করা মাকরূহ। কেননা, প্রথমত এটা কোনোভাবে মাটিতে পড়ে যাওয়ার আশংকা আছে। দ্বিতীয়ত খামখেয়ালিপনার কারণে এর মর্যাদার প্রতি যথাযথ যত্ন না নেয়ার ফলে কোরআনের আয়াতের অসম্মানের সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই যেমনিভাবে অমনোযোগী ব্যক্তির সামনে কোরআন তেলাওয়াত উচিত নয়, অনুরুপভাবে কোরআনের আয়াত-লিখিত বা ক্যালিগ্রাফি করা ওয়ালম্যাট বা শোপিস ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য। (ফতোয়ায়ে খানিয়া  ৩/৪২৪) এক বর্ণনায় এসেছে, ওমর ইবনে আবদুল আযীয রহ. দেয়ালে বিসমিল্লাহ লেখার কারণে স্বীয় পুত্রকে প্রহার করেছেন। অনুরূপ আরেকটি বর্ণনা বিশিষ্ট তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রহ.সম্পর্কেও উদ্ধৃত হয়েছে। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৪৬২৩, ৪৬২২;আলমাবসূত, সারাখসী ১/১৫; ফাতহুল কাদীর ১/২৫৩) দুই. তবে কেউ যদি এ উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করে যে এর দ্বারা আল্লাহ তাআলার কথা স্মরণ হবে, এতে লিখিত বাণীর হিদায়াত ও শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে, তাহলে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানী বলেন, ‘অধমের মতে আয়াত ও হাদিস-লেখা ক্যালেন্ডার উক্ত কারাহাতের আওতামুক্ত, যা দাওয়াত ও তাবলিগের উদ্দেশ্যে লেখা হয়। যেমন ফকিহগণ তালিম ও তারবিয়াতের উদ্দশ্যে শিশুর হাতে কোরআন মজিদ দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন।’ (জাদিদ ফিকহি মাসায়িল ১২০) তবে এ ক্ষেত্রেও আয়াতের মর্যাদার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে যে, যেন তা নিচে পড়ে না যায়, বাতাসে যাতে ওড়াউড়ি না করে বা নাপাক কিছুর সঙ্গে স্পর্শ না হয়, আর ধুলাবালি থেকে নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ