শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ত্বকের ক্যান্সারের জন্য কিছু বিষয়কে দায়ী করা হয় : ▷ রোদে অতিবেগুনি রশ্মি থাকে, যা ত্বকের ক্যান্সারের প্রধান কারণ। কারো যদি জীবনে একবার অন্তত মারাত্মক রকমের রোদে পোড়া বা রোদে ঠসা পড়ে থাকে তবে তার ত্বকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। বিশেষ করে শৈশব ও কৈশোরে রোদে বেশি থাকলে ত্বকের ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ে। কারো জীবনে নিয়মিত রোদে থাকার মোট মেয়াদ যত বেশি হবে তার ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কাও তত বেশি। ▷ পেশাগত (রেডিয়োলজি টেকনেশিয়ান) বা অন্য কোনো কারণে দীর্ঘদিন তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে থাকলে ত্বকের ক্যান্সার হয়। ▷ শ্বেতাঙ্গ- যাদের লাল চুল ও নীল বা ধূসর চোখ থাকে এবং যাদের ত্বকে ৫০ বা ততোধিক তিল থাকে তাদের ত্বকের ক্যান্সার বেশি হয়। ▷ দীর্ঘদিনের পুরনো তিল যদি তার বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে, যেমন- আকারে বড় হতে থাকে, রং ও মসৃণতার পরিবর্তন, এলোমেলো সীমানা, ওপরিভাগ থেকে রক্ত বা রস নিঃসরণ হওয়া। ▷ কোনো স্থানে রোদ যত কড়া সেই স্থানের বাসিন্দাদের ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কা তত বেশি। ▷ চিকিৎসা বা সানবাথের জন্য বেশি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। কারো যদি আগে নিজের বা পরিবারে কোনো সদস্যের যেকোনো ধরনের ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে তবে তার ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেসব রোগে (লিউকেমিয়া ও অন্যন্য ক্যান্সার) বা রোগের চিকিৎসায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় সেসব পরিস্থিতি। ▷ কিছু কিছু ভাইরাস সংক্রমণ, যেমন- হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টি করে। ▷ দীর্ঘদিনের অবহেলিত ত্বকের ঘা, পোড়া, ক্ষত, চর্মের যক্ষ্মা ইত্যাদিতে ক্যান্সার হতে পারে। কিছু জন্মগত বা বংশগতির চর্মরোগ; যেমন- জেনোডার্মা পিগ্মেন্টোসা। ▷ দীর্ঘদিন মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকযুক্ত পানি খেলে ত্বকের এবং অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সার (যেমন- ফুসফুস, লিভার, মূত্রথলি) হয়। ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত : ▷ সৌর আলোক থেকে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত থাকতে হবে। বিশেষ করে দিনের মধ্য ভাগে (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা) ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না বা বাইরে গেলেও ছায়ায় থাকতে হবে। বালি, পানি, বরফ ইত্যাদি থেকে প্রতিফলিত হয়ে যে সৌর আলোক আসে তা থেকেও ত্বক বাঁচিয়ে চলতে হবে। ঘন বুননের কাপড়, লম্বা প্যান্ট এবং ফুল হাতা শার্ট পড়তে হবে। রোদে গেলে মাথায় ছাতা অথবা এমন হ্যাট পরবে, যার চারদিকে যথেষ্ট বাড়তি অংশ থাকে যাতে মুখমণ্ডল, কান ও গলায় ছায়া থাকে। ▷ রোদে গেলে শরীরের খোলা স্থানে সানস্ক্রিন মাখতে হবে। সূর্যালোকে যাবার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫ (বা তারও বেশি) সমৃদ্ধ সানস্ক্রিণ মাখুন। ▷ লক্ষ্য রাখতে হবে ত্বকে কোনো নতুন তিল উদয় হয় কি না অথবা পুরনো তিলে হঠাৎ রং, আকার বা ওপরিভাগে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ▷ যদি কেউ আর্সেনিকোসিসে আক্রান্ত থাকে তবে তাকে ও ত্বকের যেকোনো সন্দেহজনক গোটা বা দাগ চিকিৎসককে দেখাতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ