আমি জানিনা অনেকে এটা কেন মনে করে যে পুরুষেরা নারীদের চেয়ে বেশি পুরষ্কার পাবে।ধরুন একটা খেলা হচ্ছে,দুই দল বিজয়ী হবে এবং দুই দল কেই পঞ্চাশ লক্ষ টাকার প্রাইজমানি দেওয়া হবে,কিন্তু প্রথম দলকে তারা কত প্রাইজমানি পাবে তার একটা অংশ বলে দেওয়া হলো,কিন্তু দ্বিতীয় দলকে জানানো হলো না।তো এর মানে কি দ্বিতীয় দলের পুরষ্কার কমে গিয়েছে? আশ্চর্য কথাবার্তা।আল্লাহ কুরআনে কি বলেছেন দেখুন - نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَفِى ٱلْءَاخِرَةِ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِىٓ أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ ইহকালে ও পরকালে আমরা তোমাদের বন্ধু। সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে আছে তোমরা দাবী কর।(সূরা ফুসসিলাত,আয়াত ৩১) সেখানে আমাদের জন্য আমরা যা চাই তাই আছে এবং আমরা যা দাবি করি তাও আছে,অর্থাৎ আমরা যা চাইব তার সবই দিয়ে দেওয়া হবে।এখানে আল্লাহ নারী পুরুষ কোনো আলাদা করেন নি।এটা সকল মানবজাতির জন্যই।কুরআনে জান্নাত রিলেটেড বেশিরভাগ আয়াতে সবাইকে একসাথে উদ্দেশ্য করেই বলা হয়েছে,শুধু হুরদের কথাই ছেলেদের জন্য আলাদা করে বলা হয়েছে।কেন বলা হয়েছে এটার উত্তর তো আপনি নিজেই জানেন।নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন,একজন পুরুষকে সত্তর জন হুরের কথা বললে ছেলেরা যেরকম মোটিভেটেড হয়,নারীদের যদি সত্তর জন পুরুষ দেওয়া হবে বলা হয় তারা কি সেরকম মোটিভেটেড হবে?! আচ্ছা আমি একটা সার্ভে দেখাই।এটা করেছিলেন স্বয়ং উস্তাদ নোমান আলী খান,আমেরিকার একটি সানডে স্কুলে।সেখানে ১০০ জন কিশোর ও কিশোরীকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন,যদি তারা যা চায় তাই দিয়ে দেওয়া হবে,সেটা কেউ জানতেও পারবে না,যতবার ইচ্ছা পাবে এমনকি কোনো ধর্মীয় বাধা নিষেধও থাকবে না,তাহলে তারা কি চাইবে? এটা আসলে একটি মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা ছিল। সেখানে ১০০ জন কিশোরের ১০০ জনই হুবহু একই জিনিস চেয়েছে, কি সেটা? নারী! সবারই নারী চাই। এখানে মনে রাখা ভালো তাদের বলা হয়েছিল কোনো ধর্মীয় বাধা নিষেধ থাকবে না।সে যাই হোক,কিন্তু কিশোরীদের কারো উত্তরই এক ছিল না,বরং তাদের বেশিরভাগই ছেলে চায়নি।কেউ পেপার জমা দেওয়ার সময় আবার ফেরত নিয়ে যায়,কেউ আবার একাধিক উত্তর লিখে।আমি আমার মায়ের সাথে থাকতে চাই,এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে,আমি পনি(ক্ষুদ্রাকার ঘোড়া) চাই,আমি আমার ভালোবাসার মানুষের সাথে থাকতে চাই ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বিচিত্র উত্তর মেয়েরা দেয়।তো এখানেই মানসিকতার পার্থক্য দেখা যাচ্ছে,কে কিভাবে চিন্তা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ ভালোই জানেন,সেজন্য হয়তো ছেলেদের মোটিভেট করার জন্য আগেই পুরষ্কার ফাস করে দিয়েছেন,আল্লাহই ভালো জানেন। অনেককে আবার বলতে শুনি তারা তাদের জীবসঙ্গীকে হুরের সাথে থাকতে দিবে না।আসলে হিংসা শয়তানের গুনাবলির মধ্যে একটা,যেটা সবারই কম বেশি আছে। কিন্তু জান্নাতে তো আর শয়তান থাকবে না,তাই হিংসাও থাকবে না।এটা আসলে হয়তো কেউ জান্নাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারবে না।যাই হোক,আশা করি বুঝেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ