শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বাংলাদেশে এখন হাজার হাজার মোটিভেশনাল স্পিকার আছেন, তাদের লাখো লাখো ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউব সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে আছে। অনেকে আবার বিদেশি মোটিভেশনাল স্পিকারকে ফলো করেন। এখন আমার অভিজ্ঞতা বলি। আমিও হাজারের উপর মোটিভেশনাল ভিডিও দেখেছি, তবে আমার এখনো মনে আছে, প্রথম দিকে আমি যখন মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতাম, এবং শেষবার যখন মোটিভেশনাল ভিডিও দেখেছি - ভিডিওর অর্থ, নির্দেশনা বা অনুপ্রেরণার বক্তব্যের মূল সংজ্ঞা কিন্তু এক রকম-ই ছিলো !!! আরেকটু খুলে বলি। প্রত্যেক মোটিভেশনাল স্পিকার খুব কমন কিছু রুলস বলে থাকেন মোটিভেট হওয়ার জন্যঃ ১। পরিশ্রম করা ২। ধৈর্য রাখা ৩। কাজের প্রতি ডেডিকেটেড থাকা ৪। হতাশ না হওয়া ৫। সময় অপচয় না করা হ্যাঁ, এই পাচঁটি মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে, বিভিন্ন মোটিভেশনাল স্পিকার বিভিন্নভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তব্য দিয়ে যান ! সে আপনি সোলায়মান সুখন বলেন কিংবা সন্দীপ মহেশ্বরী বলেন ! বিষয় আর মূল বক্তব্য কিন্তু একই। অথচ অল্পতেই হতাশ হয়ে যাওয়া মানুষ আমরা বেস্ট মোটিভেশন খ খুঁজতে থাকি বছরের পর বছর !! ছবিঃ সন্দীপ মহেশ্বরী (গুগল) তাহলে কি করবো ? আপনি যেহেতু অলরেডি অনেক মোটিভেশনাল ভিডিও দেখে ফেলেছেন, আর দেখবেন না ! কারণ, একটা ভিডিও যদি আপনাকে ভিতর থেকে সজাগ করতে না পারে, লাখো ভিডিও পারবে না ! ছবিঃ সোলায়মান সুখন (গুগল) তাই আপনার কি চাই, কেন চাই ! এগুলো চিন্তা করে কাজে লেগে যান ভাই ! আর অযথা ঘন্টার পর ঘন্টার মোটিভেশন ভিডিওতে সময় নষ্ট করার মানে নাই, কারণ আগেই বলেছি সব ভিডিওর ই মূল কথা একরকম ! শুধু বলার ধরণ আর গলার আওয়াজটা ভিন্ন !