যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: নীল যে পদ্ম= নীলপদ্ম, শান্ত অথচ...
পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি (কে, রে) ইত্যাদি লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যথাঃ দুঃখকে প্রাপ্ত= দুঃখপ্রাপ্ত, বিপদে আপন্ন= বিপদাপন্ন ইত্যাদি।
পূর্বপদ তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যথাঃ মন দিয়ে গড়া= মনগড়া, শ্রম দ্বারা লব্ধ= শ্রমলব্ধ, মধু দিয়ে মাখা=মধুমাখা ইত্যাদি।
বহুব্রীহি সমাসের সমস্যমান পদের বিভক্তি যদি সমস্তপদেও অক্ষুণ্ন থাকে তবে ঐ বহুব্রীহি সমাসকে অলোপ বহুব্রীহি সমাস বলে যেমন: মুখে ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে: মুখে ভাত হাতে খড়ি দেওয়া...
সহিতার্থক পদের সাথে বিশেষ্য পদের বহুব্রীহি সমাসকে সহার্থক বহুব্রীহি বলে। এই সমাসে পরপদটির সাথে কোনো কিছুর অবস্থিতি বোঝায়। উদাহরণ: স্ত্রীর সহিত বর্তমান: সস্ত্রীক পুত্রের সহিত বর্তমান: সপুত্র পরিবারের সহিত বর্তমান:...