সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি কাকে বলে?

বহুব্রীহি সমাসের ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত বাক্যাংশের কোনো অংশ যদি সমস্ত পদে লোক পায়, তবে তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বলে। যেমনঃ বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর=বিড়ালচোখী।

যে বহুব্রীহি সমাসের সমস্তপদে আ,এ,ও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয়, তাকে প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি বলে। যেমনঃ এক দিকে চোখ (দৃষ্টি) যার= একচোখা।

বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ (না অর্থবোধক) অব্যয় যোগ করে বহুব্রীহি সমাস করা হলে তাকে নঞ বহুব্রীহি বলে। যেমনঃ ন (নাই) জ্ঞান যার= অজ্ঞান।

যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্ব বা পরপদের কোন পরিবর্তন হয় না, তাকে অলুক বহুব্রীহি বলে।

 যে বিশেষণ পদগুলি মূলত বিশেষ্য পদের সংখ্যা বোঝায়, তাদের সংখ্যাবাচক শব্দ বলে।

যে বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদগুলির বিভক্তি আলাদা হয়, তাকে ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে। উদাহরণ: বীপাণিতে যাঁর = বীণাপাণি চন্দ্র চূড়ায় যাঁর = চন্দ্রচূড় শশ অঙ্কে যাঁর = শশাঙ্ক শশী শিখরে...

যে বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদে নেই শব্দ এবং পরপদে বিশেষ্য থাকে, তাকে নঞ্ বহুব্রীহি বা না বহুব্রীহি বলে। মনে রাখতে হবে, ব্যাসবাক্যের নেই শব্দ সমস্তপদে না-বাচক উপসর্গ রূপে থাকে। নঞ্ বহুব্রীহি...

বহুব্রীহি সমাসের সমস্যমান পদের বিভক্তি যদি সমস্তপদেও অক্ষুণ্ন থাকে তবে ঐ বহুব্রীহি সমাসকে অলোপ বহুব্রীহি সমাস বলে ‌ যেমন:  মুখে ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে: মুখে ভাত হাতে খড়ি দেওয়া...

সহিতার্থক পদের সাথে বিশেষ্য পদের বহুব্রীহি সমাসকে সহার্থক বহুব্রীহি বলে। এই সমাসে পরপদটির সাথে কোনো কিছুর অবস্থিতি বোঝায়। উদাহরণ:  স্ত্রীর সহিত বর্তমান: সস্ত্রীক পুত্রের সহিত বর্তমান: সপুত্র পরিবারের সহিত বর্তমান:...

একাধিক সংখ্যাবাচক শব্দ মিলে যে সমাস হয় তাকে সংখ্যাবাচক দ্বন্দ্ব সমাস বলে।