শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ডায়বেটিস রোগীদের মধ্যে অনেকেই চা বা কফিতে স্যাকারিন খান। কিন্তু এটা খাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত বা স্বাস্থ্যকর তা আমরা অনেকেই জানি না। ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সেই হারে বেড়ে চলেছে স্যাকারিনের ব্যবহারও। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্যাকারিন খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ না বাড়লেও, দীর্ঘদিন স্যাকারিন খেলে কিন্তু ডায়বেটিস আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই কৃত্রিম উপায়ে তৈরি স্যাকারিন মুখে মিষ্টির স্বাদ এনে দিলেও এটি হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ডায়বেটিস রোগীদের রক্তে যদি চিনির পরিমাণ একদম ঠিক থাকে, তাহলে চিনি পুরোপুরি বাদ দেয়ার প্রয়োজন হয় না। এক্ষেত্রে তারা দিনে ৫০ গ্রাম বা তিন চামচ চিনি খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি রোগী চিনি সরাসরি না খেয়ে বিভিন্ন খাবার অর্থাৎ আঁশযুক্ত খাবারের সাথে তা মিশিয়ে খান। ডায়বেটিস রোগীর অনেকেই চিনি ছাড়া একদমই খেতে পারেন না। তারা স্যাকারিনযুক্ত মিষ্টি খাবার নিশ্চিতে খেয়ে ফেলেন। ভাবেন এসব খাবার চিনির বিকল্প কারণ এ খাবার স্যাকারিন দিয়ে তৈরি। কাজেই এতে ডায়বেটিস বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এ ধারণা সঠিক নয়। অবশ্য কৃত্রিম উপায়ে তৈরি স্যাকারিনের চেয়ে অর্গানিক উপায়ে তৈরি স্যাকারিনযুক্ত খাবার তুলনামূলকভাবে ভালো। অনেক ডায়বেটিস রোগীর শরীরে হঠাৎ করে চিনির পরিমাণ কমে গেলে তারা দ্রুত চিনির পরিমাণ বাড়াতে চা, কফি, চিনি বা স্যাকারিন রয়েছে এমন পানীয় পান করেন। এমনকি অনেক সময় তারা সরাসরি চিনি খেয়ে ফেলেন। এর ফলে খুব দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় ঠিকই, কিন্তু এতে ফল হতে পারে ভয়ঙ্কর। তাই ডায়বেটিস রোগীদের এ কাজ একেবারেই করা উচিত নয়। জার্মানিতে ২০১২ সালের শেষ দিক থেকে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য তৈরি আলাদা বা বিশেষ খাবার অর্থাৎ যাতে লেখা থাকতো ‘ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ খাবার’ তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ এসব খাবারে যে চিনি দেয়া হত তা বেশিরভাগই থাকতো ফ্রুক্টোজ মিশ্রিত। ডায়বেটিস রোগীর কেউ কেউ আবার চিনির পরিবর্তে মধু, মিষ্টি ফল, সিরাপ বা অন্য কিছু খান। এ সবেও কিন্তু রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণের ব্যাপারটাও কিন্তু বিবেচনায় রাখা উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ