শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মারি ক্যুরি প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী যিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এই পোলীয় ও ফরাসি বিজ্ঞানী ১৯০৩ সালে তেজস্ক্রিয়তার উপর গবেষণার জন্য তার স্বামী পিয়ের ক্যুরি এবং তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক অঁরি বেকেরেলের সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। উইকিপিডিয়া মেরি কুরির পুরো নাম, মেরি স্কলোডসকা কুরি। তার ডাক নাম ছিল মানিয়া। রাশিয়া বিভাগের সময় ১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর মেরি কুরির জন্ম হয় পোল্যান্ডের ওয়ার্স শহরে। পরিবারে তাকে মানিয়া বলে ডাকা হতো। তার বাবা ব্লাদিস্লাভ শক্লোদোভস্কি একটি নামকরা কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তার মা ওয়ার্স শহরের একটি নামকরা ওয়ার্স বোর্ডিং স্কুল ফর গার্লস এর প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। মেরির যখন দশ বছর বয়স তখন তার মা যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পর কিছু দিন যেতে না যেতেই তার বড় বোন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মা আর বড় বোনের মৃত্যুতে মেরি খুব ভেঙে পড়েছিলেন। আর্থিক দুরবস্থার জন্য মেরি ৫০০ রুবলের এক বাসায় গভর্নেসের কাজ করতেন, কাজিমিয়েরেজ জোরভস্কির ছিলেন সে বাড়ির ছেলে ছিলেন। মেরি তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মেরি গরিব ছিল বিধায় কাজিমিয়েরেজের পরিবার এ সম্পর্কটা মেনে নেয়নি। কাজিমিয়েরেজও তার পরিবারের কথা অমান্য করেননি। এই ব্রেকআপ মেরিকে আহত করে। ১৮৯১ সালে মেরি পোল্যান্ড থেকে ফ্রান্সে এসে প্যারিসের সোরবর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পদার্থবিজ্ঞানে, রসায়নে এবং গণিতে অধ্যয়ন করতে থাকেন। মেরির আয় তখন ছিল খুবই সীমিত। প্রায় সময় তাকে ক্ষুধায় কাটাতে হত। মেরি দিনে পড়তেন, সন্ধ্যায় পড়াতেন এবং পড়িয়ে যা আয় করতেন, তা ছিল খুবই সামান্য। ১৯৮৩ সালে তাকে পদার্থবিজ্ঞানে ডিগ্রি দেয়া হয়। এরপর তিনি আরেকটি ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে ফেলোশিপ পেয়ে যান। এরপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যান। তিনি প্যারিসে ‘দ্য সোসাইটি ফর দ্য এনকারেজমেন্ট অফ ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রি’র সহায়তায় বিভিন্ন পদার্থের চৌম্বক ধর্ম পরীক্ষার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু করেন। পোলিশ পদার্থবিদ অধ্যাপক জোজেফ কোভালস্কি পিয়েরের সাথে মেরির পরিচয় করিয়ে দেন। মেরির পিয়েরেকে দেখে ভালো লেগেছিল, কিন্তু কাজিমিয়েরেজের সাথে ভালোবাসার তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেননি। তাই প্রথমদিকে বিষয়টা এড়িয়ে চলতেন। যা-ই হোক, দুজনে মিলে চুম্বক গবেষণায় নিয়োজিত হন। গবেষণা চলার সময়ে তাদের মাঝে তীব্র ভালোলাগা ও ভালোবাসার জন্ম নেয়। মেরি নিজ দেশ পোল্যান্ডে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে শিক্ষকতা করতে চেয়েছিলেন। [1] অবশেষে, ১৮৯৫ সালের ২৬ জুলাই দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হলো।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ