আমার ফুপাত বোনের মেয়েকে খুব ভাল লাগে। আমি তাকে খুব ভালবাসি, সেও আমাকে ভালবাসে। আমি জানি ইসলাম আমাদের বিয়েটাকে সর্মথন করে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সমাজ কী বলবে?? পরিবারে মুখ দেখাব কিভাবে? ইত্যাদি চিন্তা সর্বদা মাথার ভিতর ঘুরপাক খায়। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি..????


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

ফুপাত বোনের মেয়ে অর্থাৎ আপনার ভাগিনি হচ্ছে সম্পর্কে। আপনার ভাগিনিকে বিবাহ করলে সমাজ কি বলবে না বলবে বা ফেমিলি কি বলবে তা তো বুঝতেই পেরেছেন।

আমার মনে হয় এই সম্পর্কে না জরানোই ভালো কেনো না এতে আপনার ফেমিলি ও বাকি আত্মীয় রাও নানান কথা বলবে আপনার মামা,ফুফুরা, খালু,মামি, এরা সবাই আপনাকে বকাবকি করবে ও মেনে নিবে না। তবে সবাই যে মেনে নিবে না তা বলা সম্ভব না হয়তো ২/১ জন রাজি হতে পারে। আবার আপনার ফেমিলির কেউই রাজি না। আর এ নিয়ে কিছু ঝামেলা হলে আত্মীয়তাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

ভুলেও নিজে নিজেই পালিয়ে বিয়ের চিন্তা করবেন না কারন আপনার সামান্য ১ টা ভুলের কারনে আপনার ফেমিলির ও বাকি আত্মীয়র মাঝে অনেক সমস্যা ও বিবাদ সৃষ্টি হতে পারে।আর যারা আত্মীয়র মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করে আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না।

এই বিষয়ে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাযি. থেকে বর্ণিত অপর একটি হাদীসে রয়েছে। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক আল্লাহর আরশের সঙ্গে ঝুলে থেকে বলতে থাকে, যে আমাকে জুড়ে রাখল, আল্লাহ তাকে জুড়ে রাখুন। আর যে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলল, আল্লাহও তাকে বিচ্ছিন্ন করে দিন।-সহীহ মুসলিম

কাজেই এরকম কখনোই করবেন না। আপনি আবেগ এর বসে এরকম করছেন হয়তো ওই মেয়েকে ভুলে যাজ ও তাকে এড়িয়ে যেতে চেস্টা করুন। এবং আপনি বিবাহ করতে চাইলে বাসায় বলুন মেয়ে খুজতে বা ঘটক এর মাধ্যমে ভালো চরিত্র এর মায়ে খুজতে। কিন্তু ওই মেয়েকে বিয়ে করা উচিৎ হবে না যে আপনার আত্মীয় বা ভাগিনি হয়।

ধন্যবাদ। 

Call

আমার মনে হয় - জীবনে সব সময় সেফ খেলা,  বা সেফ থাকা ঠিক না,  কখন কখন অন্যদের বা সমাজের বাহিরে গিয়ে নিজেকে দেখা উচিত। সমাজ মানুষ কে নিয়ন্ত্রন করবে এর চেয়ে অনেক বেশি উওম মানুষ ই সমাজ কে নিয়ন্ত্রন করুন - কেননা আজ না হউক কাল মানুষ নিজের জন্য আর সমাজ কে তোয়াক্কা করবেন - স্পেশালি  সমাজের কিছু জোর বাধা নিয়ম - যা সর্বদা মানুষকে আফসোস ই করায়৷  আমি বলছি না সমাজে র সব নিয়ম ভালো বা খারাপ!  আমি বিশ্বাস করি আমি সমাজের গোলাম না৷  

এবার আসি পরিবারের কখা - ধর্ম মতে এখানে কোন বাধা নেই - তার মানে এটা বৈধ।  হয়ত কিছু  লোক সামাজিক রিতি নিতি মেনে বাধা দিবে - বলবে  যে আত্নীয়তার ভেতরে আর আত্নীয়তার দরকার নেই-  ,  তোর কি লজ্জা সরম নেই,  আর এই সবের পর যদি আপনি মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে দেখবেন যে সেই সমাজের কথা ই বলবে,  যে সমাজে কিভাবে মুখ দেখাব,  মানুষ কি বলবে,  সমাজে ৫ জনের সাথে কিভাবে চলব এই সব আর কি৷  **

তার মানে জেনে কিংবা না জেনে সকলে কোন না কোন ভাবে সমাজের কাছে গোলাম,  আমার মনে হয় - আমাদের সমাজের কাছে গোলাম হওয়ার দরকার আছে?? কারন এখানে তো ভুল কিছু করছি  না,  একে অপরকে ভালোবাসি,  আর আমাদের ভালোবাসার মূল্যয়ন করা উচিত!  

সমাজ নিয়া চিন্তা করার কোন দরকার নেই,  আমার টা আমার মত জানে,  আমার পরিবার জানে আমি ভালো করছি না খারাপ করছি৷  

২ জন বিশ্বাস রাখুন - প্রাপ্ত বয়স্ক হলে ,  আর রোজগার করার ক্ষমতা থাকলে বাবা - মার সাথে কথা বলুন - তাদের কে মনের কথা খুলে বলুন - তাদের কে বুঝা যে " আপনি তাদের খুশি চান - আমার মনে হয় বাবা - মা ও আপনার খুশি চাইবে - কেননা বাবা - মা র সবচেয়ে বড় পাওয়া ই হল সন্তানের খুশি।  ফুপুর পরিবারের সাথে কথা বলুন - নিজে না বাবা মাকে দিয়ে - তবে চেষ্টা করবেন বাকি লোকদের যত কম ইনভল্ব করা যায়।  যদি মেয়ের পরিবার না মানে - নিজে ও াকথা বলার চেষ্টা করবেন - মেয়ে কে দিয়ে জোর করাবেন না - কেননা - সেটা মেয়ের ও মেয়ের চরিত্রের জন্য খুব বেশি সামঞ্জস্য পূর্ন নয়৷  বিশ্বাস রাখবেন ও নিজেকে তাদের যোগ্য করে তুলবেন - ঠিক হয়ে যাবে৷  

ভাই নিজের জিবন - এত মানুষের কর দেওয়ার সময় নাই  - কারে কর - সম্মান দিতাছেন - মরলে জানাজায় আসব কিনা সন্দেহ - আর যদি এই আপনি ই ভালো কিছু করেন তাহলে দেখবেন আপনি ই অনেক র " ভালোর উদাহরণ " হয়ে যাবেন৷  

বি দ্র; মনের কথা বললাম - কোন ফিল্টার ছাড়া৷  

Call

 

ইসলামী ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে আপন ফুফাতো বোনের মেয়েকে বিয়ে করা জায়েজ। চাইলে ফুফাতো বোনের মেয়ে বিয়ে করতে পারবেন।

তবে সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে বা দুই পক্ষের অমতে বিয়ে না করাই উচিত। যেটাই করবেন দুই পক্ষের সম্মতিতেই করবেন।

(সুরা নিসা: ২৩-২৪, সুরা আল আহযাবঃ ৫০)।