আপনার কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
কুরআন শুধু সূর্যের ঘুর্ণনের কথা বলে না। বরং মহাকাশের সবকিছুই ঘুরে-চলমান— সেটা বলে।
সূরা ইয়াসিন : ৪০ নম্বর আয়াতের শেষে বলা হচ্ছে, "আর (মহাকাশের) সবকিছুই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।"
সুতরাং কুরআন বলে না যে, শুধু সূর্যই ঘুরে। বরং বলে, মহাকাশের যত গ্রহ নক্ষত্র আছে, সবই আপন আপন কক্ষপথে ঘুরে।
আর 'পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে'— বিজ্ঞানের এই কথাও ঠিক আছে। সাথে সাথে বিজ্ঞান এই কথাও বলে, সূর্য তার গ্রহ উপগ্রহ সবকিছু নিয়ে নিজ গ্যালাক্সি প্রদক্ষিণ করছে। অর্থাৎ, সূর্যও আপন কক্ষপথে ঘুরছে। সুতরাং কুরআন ও বিজ্ঞানের মধ্যে এক্ষেত্রে সংঘর্ষ দেখা যাচ্ছে না।
আপনার প্রশ্ন হলো "কোরআন বলে সূর্য ঘোরে, বিজ্ঞান বলে পৃথিবী সূর্যের চারোদিকে ঘুরে" এর মধ্যে কোনটা সত্য।
উত্তরটা হলো দুটিই সত্য।
কোরআন বলে সূর্য ঘোরে বিজ্ঞানও বলে সূর্য ঘোরে।
কোরআন এখানে ঘোরে বলতে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে এটা বুঝায়নি। বুঝানো হয়েছে যে সূর্য নিজ অক্ষে এবং নিজ কক্ষপথে অনবরত ঘূর্ণায়মান। একইভাবে পৃথিবীও নিজ অক্ষে এবং নিজ কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। পৃথিবীর কক্ষপথ সূর্যকে ঘিরে অবস্থিত। যদিও কোরআনে তা উল্লেখ নেই, তবে কোরআনে এটি অস্বীকারও করা হয়নি।
সুতরাং আপনি যদি উলটো বুঝেন তাহলে সেটা আপনার সীমাবদ্ধতা। উল্লিখিত কোরআনিক তথ্যগুলোর কোনটাই বিজ্ঞানের বিপরীতে যায়নি। বিজ্ঞানেও হুবহু একই কথা বলে। পৃথিবী যেমন নিজ অক্ষ ও কক্ষপথে বিচরণশীল তেমনি সূর্যও নিজ অক্ষে এবং পুরো সৌরজগত নিয়ে নিজ কক্ষপথে বিচরণ করছে।