এটা সম্পু্র্ণ পরতে হবে। করন সুরা ফাতিহা সম্পূর্ন পড়া ওয়াজিব।

সূরা ফাতিহা সম্পূর্ণ অবশ্যই পড়তে হবে; কারণ, এটা পড়া ওয়াজিব। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা ওয়াজিব। ভুলে না পড়লে অবশ্যই শেষ রাকাতে সাহু-সেজদা দিতে হবে।

সুরা ফাতিহা পরা আবশ্যক, না পড়লে নামাজ হবে না। নামাজে সুরা ফাতিহা বিষয়ক হাদীস: সাহাবায়ে কেরামগণ ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়তেন (বায়হাকী ২য় খন্ড ১৭০ পৃঃ); ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়বে । ইমাম দ্রুত পড়লে তার পরে পড়বে অথবা তার সাথে সাথে পড়বে । কোন অবস্থায় ছাড়বে না (আবু দাউদ ১ম খন্ড ১২১ পৃঃ); যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়বে না তার নামায হবে না (কেতাবুল কেরাত বায়হাকী ৪৭ পৃঃ; আরবী বুখারী ১ম খন্ড ১০৪ পৃঃ; মুসলিম ১৬৯ পৃঃ; আবু দাউদ ১০১ পৃঃ; নাসাঈ ১৪৬ পৃঃ; ইবনু মাযাহ ৬১ পৃঃ; মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ৯৫ পৃঃ); উবাদাহ বিন সামিত (রাঃ) বলেন, আমরা ফজরের নামায রাসুল (সঃ) এর পিছনে পড়ছিলাম । অতঃপর রাসুল (সঃ) পড়লেন কিন্তু তাঁর কেরাত তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে যখন তিনি নামায থেকে ফারেগ হলেন তখন বললেন মনে হয় তোমরা ইমামের পিছনে কেরাত পড়েছ? তখন সবাই বললেন হ্যাঁ ইয়া রাসুলুল্লাহ(সঃ) । তখন রাসুল (সঃ) বললেন ইমামের পিছনে কিছুই পড়বে না সুরা ফাতেহা ব্যতীত । যে ব্যক্তি সুরা ফাতেহা পড়বে না তাঁর নামায হবে না (দেখুন, আবু দাউদ আরবী ১ম খন্ড ১১৯ পৃঃ; তিরমিযী ১ম খন্ড ৩৪/৪১ পৃঃ; দারা কুতনী আরবী ১ম খন্ড ১২১ পৃঃ; যুযউল কেরাত বুখারী ২৮ পৃঃ; সুনানে কুবরা ২য় খন্ড ১৬৫ পৃঃ; মুসতাদ্রাকে হাকেম ১ম খন্ড ২৩৮ পৃঃ; যুযউল কেরাত ১২, ২২ পৃঃ; কেতাবুল কেরাত ৪৪ পৃঃ);