শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আমাদের দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের একটি সমীক্ষায় [NationalAsthma Prevalence Study (NAPS) 1999] দেখা গেছে –* ৭ মিলিয়ন মানুষ অ্যাজমাতে আক্রান্ত যা সে সময়ের মোট জনসংখ্যার ৫.২%* এদের ভিতর ৯০% সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করে না।* এই রোগীদের সিংহ ভাগই ১ থেকে ১৫ বছর বয়সী।* মেয়ে শিশুদের চেয়ে ছেলেরা অধিক হারে আক্রান্ত হয়ে থাকে।* উপকূলীয় এবং গ্রামাঞ্চলে অ্যাজমার হার বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।যে সকল ক্ষেত্রে অ্যাজমা হবার ঝুঁকি বেশি থাকেঃ• ধূমপান ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যাদি ব্যবহার করলে। সুতরাং-• দৈনন্দিন জীবনে অতিরিক্ত ধুলাবালি, বিষাক্ত গ্যাস ও কলকারখানার সংস্পর্শে আসলে।• শ্বাসনালীর ইনফেকশান বা জীবাণুর সংক্রমণ হলে।• আবহাওয়ার তারতম্য ( অতি মাত্রায় ঠাণ্ডা, বায়ুতে পরাগ রেণুর অধিক মাত্রায় উপস্থিতি ইত্যাদি)• পরিবারের ভিতর এই রোগের পূর্বাতিহাস থাকলে।• বাসস্থান দীর্ঘদিন ধরে অতিমাত্রায় স্যাঁতসেঁতে থাকলে।• পোষা প্রাণী যেমন বিড়াল, কুকুর, ঘোড়া – এসবের সংস্পর্শে আসলে।• চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করলে (কিছু কিছু ঔষধ অ্যাজমা হবার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়)উপরের এই বিষয়গুলোকে বলা হয় Predisposing/ Triggering factors. এইসকল ক্ষেত্রে অ্যাজমা হবার ঝুঁকি বেশি থাকে এবং ইতোমধ্যে কারো এই রোগ হয়ে গিয়ে থাকলে তার পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। তবে এগুলো ছাড়াও কিছু কিছু বিষয় আছে যেসব ক্ষেত্রে অ্যাজমা হবার বা পরিস্থিতির অবনতি হবার সম্ভাবনা থাকে যেমন অতিমাত্রায় আবেগ আক্রান্ত হওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি।এই পর্যায়ে যে কথাটি না বললে নয়তা হল- বিজ্ঞানীরা এখনো অ্যাজমা রোগটির মূল কারন সম্পর্কে পুরোপুরি পরিষ্কার ধারণা দিতে পারেননি। তাই এই কথা নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যাচ্ছে না যে উপরের ফ্যাক্টরগুলো না থাকলে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হবেন না আবার এগুলো থাকলেই নিশ্চিত কারো অ্যাজমা হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মোট অ্যাজমা রোগীর অর্ধেকেরও বেশি শিশু।তবে বয়ূবৃদ্ধদের ও এই রোগ বেশি হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ