শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
AbdulHalim

Call

ব্যাংক কে বলা হয় পরের ধনের পোদ্দার অর্থাৎ ব্যাংক অন্যের টাকা ব্যবহার করে অর্থ ও ঋণের বা সুদের ব্যবসা করে৤ইসলামে সুদকে হারাম করা হয়েছে তাই কাজে সহায়তা করাও হারাম৤অর্থাৎ ব্যাংকে চাকরি করা হারাম৤

Call

হালাল। আপনার কাজ। আপনি কাজ করেই তো টাকা পাচ্ছেন। চুরি করে কিংবা সুদ ঘুষ নিয়ে তো বেতন নিচ্ছেন না। কাজের মু্ল্য পাচ্ছেন। হ্যা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে খেয়ানতি কিংবা সুদের কোন কাজ করছেন কিনা।

sayed_sahin

Call

সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি জেনে রাখুন-

ব্যাংকে চাকরি করা হারাম হওয়ার মূলত কারণ দু’টি। যথা-

১-হারাম কাজে সহায়তা করা হয়।

২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সর্ব ধরণের সহায়তা হারাম নয়। বরং সেসব সহায়তা হারাম যাতে সরাসরি হারাম কাজে জড়িত হওয়া হয়। যেমন সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লেখা। সুদী টাকা উসুল করা ইত্যাদি।

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যদি সুদী কাজে জড়িত না হতে হয়, বরং তার কাজের ধরণ এমন হয় যেমন ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি হয় তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমনটি করার সুযোগ আছে।

আর হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার বিষয়ের ক্ষেত্রে শরয়ী মূলনীতি হল-যদি বেতনটি হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হারাম মাল বেশি হয়, তাহলে তা নেয়া জায়েজ নয়। তবে যদি হারাম মাল কম হয় তাহলে বেতন নেয়া জায়েজ হবে।

ولا يجوز قبول هدية أمراء الجور لأن الغالب في مالهم الحرمة إلا إذا علم أن أكثر ماله حلال بأن كان صاحب تجارة أو زرع فلا بأس به لأن أموال الناس لا تخلو عن قليل حرام فالمعتبر الغالب (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الثاني عشر في الهدايا والضيافات-5/342)

অনুবাদ-জালেম বাদশাহর হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ নয়। কেননা তার অধিকাংশ মাল হয় হারাম। তবে যদি জানা যায় যে, তার অধিকাংশ মাল হালাল, এ হিসেবে যে সে ব্যাবসায়ী বা জমিদার, তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করাতে সমস্যা নেই। কেননা সাধারণত মানুষের মাল অল্প হারাম থেকে মুক্ত নয়। তাই এতে আধিক্যের বিষয়টি বিবেচিত হবে। { ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২}

ব্যাংকের অবস্থা এই যে, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-

১-মূলধন। ২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা। ৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী। ৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী।

এ চারটি বিষয়ের মাঝে কেবল ৪র্থ সুরতটি হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে মূলত জায়েজ।

যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন অধিক। আর ৪র্থ বিষয়টি তথা হারাম লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয় তাহলে তা জায়েজ হবে। এবং বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে উত্তম হল এ চাকরীও ছেড়ে দেয়া।

কিন্তু যদি হারাম আমদানী বেশি হয় হালালের তুলনায়, বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয় তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা জায়েজ নয়। এ থেকে বেতন নেওয়াও জায়েজ নয়। বেতন নিলে তা হারাম হিসেবে গণ্য হবে। {ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬}

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

ArifHossian

Call

অবশ্যই হারাম..! কারন ব্যাংক মানেই সুদের কারবার, যাকে আল্লাহর রাসুল তীব্র নিন্দা করেছেন। ব্যাংকে আমাদের আতি! আতি! আতি! বিপদে পড়ে টাকা রাখতে হবে মাত্র।

akram3634

Call

►প্রথমতঃ সুদী লেনদেনের কাজ করা নিষিদ্ধ এবং আপনার জন্যও বৈধ নয় ঐ কাজ চালিয়ে যাওয়া কেননা তা পাপ এবং সীমালঙ্ঘনের কাজে সহায়তার মধ্যে পরে। আল্লাহ্ এটি নিষেধ করেছেন এই বলে- ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺈِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۖ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ -..পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে তোমরা একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। [সুরা আল-মাই’য়িদাহ, আয়াত ২] হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, ﻟَﻌَﻦَ ﺁﻛِﻞَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻭَﻣُﻮﻛِﻠَﻪُ ﻭَﺷَﺎﻫِﺪَﻳْﻪِ ﻭَﻛَﺎﺗِﺒَﻪُ রাসুল ﷺ লা’নত করেছেন, সুদখোরের উপর, সুদদাতার উপর, এর লেখকের উপর ও উহার সাক্ষীদ্বয়ের উপর। [মুসলীম হা/১৫৯৭; তিরমিযী হা/১২০৬; ইবনে মাজাহ হা/২২৭৭; আবু দাউদ হা/৩৩৩৩; আহমাদ ৩৭২৯, ৩৭৯৯, ৩৮৭১, ৪০৭৯, ৪২৭১, ৪৩১৫, ৪৩৮৯, ৪৪১৪, দারিমী হ/২৫৩৫; ইরওয়া ৫/১৮৪; আত-তা’লীকুর রাগীব ৩/৪৯] উপরের হাদীসটি পাঁচ জন মুহাদ্দীস থেকে বর্ণিত, ঈমাম আহমদ, আবু দাঊদ, আল-তিরমিযী, আল-নাসাঈ এবং ইবনে মাযাহ্। ইমাম তিরমিযী এই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। →অতএব সুদী ব্যংকে কাজ করার জন্য আপনাকে আল্লাহ্র কাছে তোওবা করতে হবে এবং দ্রুততার সহিত এই চাকুরী ত্যাগ করে অন্য চাকুরীর সন্ধান করতে হবে। ► দ্বিতীয়তঃ বিগত বছর গুলি ব্যাংকে কাজ করার জন্য, আমরা আশা করি আল্লাহ্ আপনার গুনাহ্ ক্ষমা করবেন এবং এই সময়ে আপনি যা আয় করেছেন তাতে কোন সমস্যা নেই, যদি এই বিষয়ে আপনি ইসলামের বিধান না জেনে থাকেন। আমরা এও আশা করি আল্লাহ্ আপনার হজ্জ কবুল করুন যা এই অর্থ দ্বারা সম্পাদন করা হয়েছে, আল্লাহ্ বলছেন, ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺄْﻛُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻟَﺎ ﻳَﻘُﻮﻣُﻮﻥَ ﺇِﻟَّﺎ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺘَﺨَﺒَّﻄُﻪُ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺲِّ ۚ ﺫَٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊُ ﻣِﺜْﻞُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ۗ ﻭَﺃَﺣَﻞَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊَ ﻭَﺣَﺮَّﻡَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ۚ ﻓَﻤَﻦ ﺟَﺎﺀَﻩُ ﻣَﻮْﻋِﻈَﺔٌ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻪِ ﻓَﺎﻧﺘَﻬَﻰٰ ﻓَﻠَﻪُ ﻣَﺎ ﺳَﻠَﻒَ ﻭَﺃَﻣْﺮُﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻭَﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَ ﻓَﺄُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ۖ ﻫُﻢْ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺧَﺎﻟِﺪُﻭﻥَ -যারা সুদ খায় তারা দাঁড়াতে পারে না তার মতো দাঁড়ানো ছাড়া যাকে শয়তান তার স্পর্শের দ্বারা পাতিত করেছে। এমন হবে কেননা তারা বলে -'ব্যবসা-বাণিজ্য তো সুদী-কারবারের মতোই।’ কিন্তু আল্লাহ্ বৈধ করেছেন ব্যবসা-বাণিজ্য, অথচ নিষিদ্ধ করেছেন সুদখুরি। অতএব যার কাছে তারা প্রভুর তরফ থেকে এই নির্দেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে তার জন্যে যা গত হয়ে গেছে, আর তার ব্যাপার রইল আল্লাহ্র কাছে। আর যে ফিরে যায় তারাই হচ্ছে আগুনের বাসিন্দা, এতে তারা থাকবে দীর্ঘকাল। [সূরা আল বাক্বরা ২৭৫] আল্লাহ্ যেন আমাদের সফলতা দান করেন, সালাম ও দরূদ বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ ﷺ এর উপর, তার পরিবার এবং সাথীদের উপর।

Call

জবাব:প্রচলিত ধারার ব্যাংক বা সমিতিগুলো সুদী অর্থনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। সুদ আদানপ্রদানই এসব ব্যাংক বা সমিতির মূল ও প্রধান কাজ। বর্তমান পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় এসব ব্যাংকই হচ্ছে সুদের প্রচার ও প্রসারের প্রধান মাধ্যম। আর ব্যাংক বা সমিতিতে কর্তব্যরত ব্যক্তি বিভিন্ন উপায়ে সুদী কারবারের সাথে সরাসরি জড়িত। সুদ দেওয়া-নেওয়া যেমন হারাম তেমনি অন্যের সুদী কারবারে জড়িত হওয়াও হারাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু সুদদাতা ও গ্রহীতাকে লানত করেননি; বরং এর লেখক (অর্থাৎ সুদের হিসাব-কিতাবকারী) ও সাক্ষীগণকেও অভিসম্পাত করেছেন।
হযরত জাবির রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদ গ্রহণকারী ও সুদ প্রদানকারী এবং সুদের লেখক ও সাক্ষীদ্বয়ের উপর লানত করেছেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৮
সুতরাং একজন মুসলমানের জন্য প্রচলিত ধারার ব্যাংকে বা সমিতিতে চাকরি করা এবং এর বেতনাদি ভোগ করা বৈধ নয়।
আর সুদভিত্তিক হওয়ায় এসব ব্যাংকে বা সমিতিতে সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাব বা বিভিন্ন মেয়াদের সঞ্চয়ী হিসাব খোলা কিংবা সুদের ভিত্তিতে যে কোনো ধরনের ঋণ গ্রহণ করা হারাম। কেউ এমন হিসাব খুলে ফেললে তা দ্রæত বন্ধ করে দিতে হবে এবং এ থেকে প্রাপ্ত সুদ সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে দিতে হবে।
অবশ্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ব্যাংকে চলতি হিসাব খোলা, টিটি, পে-অর্ডার ইত্যাদি সুদবিহীন লেনদেন করা জায়েয।
-তাফসীরে কুরতুবী ৩/২২৫ (সূরা বাকারা : ২৭৫); তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/২১৯
যে সুদী কারবারের সাথে সরাসরি জড়িত সে হলো ‘‘ফাসেক’’ অর্থাৎ পাপাচারী, আর ফাসেক এর পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমি অর্থাৎ হারামের কাছাকাছি। তাই অকাট্য সমস্যা না হলে এধরনের ইমামের পিছনে নামায পড়া পরিহার করা আবশ্যক।
হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব ‘ফাতাওয়ায়ে শামী’’ এর মাঝে রয়েছে- فهو (الفاسق) كَالْمُبْتَدِعِ تُكْرَهُ إمَامَتُهُ بِكُلِّ حَالٍ
অর্থাৎ : ফাসেক ব্যক্তির হুকুম বেতআতির ন্যায়, সর্ব অবস্থায় তার ইমামতি মাকরুহে তাহরীমি। ফাতাওয়ায়ে শামি-১/৫৬০।
❁ আরো দেখুন, আহসানুল ফাতাওয়া-৩/২০৯, ইমদাদুল ফাতাওয়া-১/৪১১, গুনইয়া-৪৮০ ইত্যাদি কিতাবসমূহ। উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দী


সুত্রঃhttp://quranerjyoti.com