মানব দেহে পানির ভূমিকা
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
AbdulHalim

Call

গ্লাস পানির উপকারিতা: ডা সাহাদাত হোসেন ১. এক গ্লাস পানি ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথেযদি আপনি পান করেন, তবে শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সক্রিয় হয়ে যায়। ২. এক গ্লাস পানি যদি আপনি খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পান করেন তবে এটা খাবার হজমে সাহায্য করবে বেশি। ৩. এক গ্লাস পানি গোসলের আগ মুহূর্তে আপনি পান করলে এটা আপনাকে উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। ৪. এক গ্লাস পানি ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে যদি পান করেন তবে আপনাকে এক হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।

খালি পেটে পানি পানের উপকারিতা জল চিকিৎসা নামে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি জাপনী মেডিকেল সোটাইটি খুঁজে বের করেছে যা শতভাগ সুস্থতা প্রদানে সক্ষম বলে দাবি করেন তারা। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চার গ্লাস পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাহলে পানি পান করা কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? আর যদি ভাল হয়; তাহলে কেন ভাল? কীভাবে উপকার পাওয়া যায় সকালে পানি পানে? আর কি পরিমাণই বা পানি পান করতে হবে? চিকিৎসকদের মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ভারতে প্রাচীন যোগগুরু বা ঋষিরা তাদের সাধনায় তারা খালি পেটে পানি পানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে স্থান দিয়ে আসছেন। জাপানেও চিকিৎসা পদ্ধতি খালি পেটে পানি পান করা। একটু নিয়ম মেনে পানি পান করলে শরীরের জন্য আরও ভালো হবে। প্রথম দিকে এটা অনেক বেশি মনে হলেও কিছুদিন এভাবে পানি পান করলে বিষয়টি সহজেই আয়ত্ত হয়ে যায় এবং উপকারও টের পাওয়া যায়। পানি খাওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আর অন্য কিছু মুখে না দেওয়াই ভালো। এ উপায়ের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং এটি পরিপাক ক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী। গবেষকেরা বলেছেন, সকালে খালি পেটে পানি কেবল পাকস্থলী পরিষ্কারই নয়; শরীরের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থেকেও বাঁচাতে সাহায্য করে। খালি পেটে পানি পানের সুফল প্রথমত, এই অভ্যাস মলাশয়কে ঠিকঠাক ও সচল রাখতে সাহায্য করে। পরিপাক ক্রিয়া থেকে সঠিকভাবে নানা পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে। ভাল হজমশক্তি আপনা থেকেই অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে আসে। দ্বিতীয়ত, পর্যাপ্ত পানি ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখে। রক্ত থেকে টক্সিন ও বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান দূর করতে পানি সাহায্য করে। এ ছাড়াও নতুন রক্তকোষ এবং মাসল সেল জন্মানোর প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে পানি । ওজন কমিয়ে রাখতেও পর্যপ্ত পরিমাণে পানি পান খুবই উপকারী । কি পদ্ধতিতে পানি পান করবেন ১. ঘুম থেকে উঠেই ১৬০ মিলি লিটারের গ্লাসের ৪ গ্লাস পানি পান করবেন। ২. পানি পানের ৪৫ মিনিটের মধ্যে কোনও খাবার খাবেন না। ৩. ৪৫ মিনিট পর নাস্তা করবেন এবং পানি পান করবেন। ৪. নাস্তা করার ১৫ মিনিট পর, দুপুরে এবং রাতের খাবারের ২ ঘন্টার ভিতরে কোনও খাবার বা পানি পান করবেননা। ৫. যারা বয়ষ্ক বা অসুস্থ এবং ৪ গ্লাস পানি পান করতে অক্ষম প্রথম দিকে অল্প অল্প করে পানি পানের অভ্যাস করবেন। এরপর ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়াতে চেষ্টা করবেন। ৬. উপরের চিকিৎসা পদ্ধতিটি উল্লেখিত রোগ বা অসুখসমূহের নিরাময় করবে এবং যাদের েএসব নেই তারাও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। রোগ বা অসুখ ভেদে এবং কতদিন পানি পান করবেন ১. উচ্চ রক্তচাপ (৩০ দিন) ২. বুক জ্বালাপোড়া (১০ দিন) ৩. ডায়াবেটিস (৩০ দিন) ৪. কোষ্ঠকাঠিন্য (১০ দিন) ৫. ক্যান্সার (১৮০ দিন) ৬. যক্ষা (৯০ দিন) ৭. বাত ব্যথার রোগিরা উপরে চিকিৎসাটি প্রথম সপ্তাহে ৩ দিন, এবং দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন চালিয়ে যাবেন। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, তবে প্রস্রাবের পরিমাণ পূর্বের তুলনায় বেড়ে যেতে পারে। এটি দৈনন্দিন জীবনের সাথে যোগ করলে অন্যান্য রোগ থেকেও সুস্থ থাকা যাবে। পানি পান করুন। সুস্থ ও কর্মঠ থাকুন। নিয়মিত পানি পান প্রাত্যহিক জীবনযাপনের অংশ করে নিন,। এতে আগের থেকে নিজের শরীরকে লাগবে অনেক ফুরফুরে। চীনারা খাবারের সঙ্গে কিন্তু ঠাণ্ডা পানির বদলে গরম চা পান করে। খাওয়ার পরপরই ঠাণ্ডা পানি তৈলাক্ত খাদ্যকে কঠিন করে তোলে। পরিপাক ক্রিয়াকেও করে ধীরগতি করে তোলে। খাওয়ার পর তাই স্যুপ বা হালকা গরম পানি পান করা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত খালি পেটে পানি পানের চর্চা চালিয়ে যেতে থাকুন। আর ফলাফল নিজেই অনুভব করতে পারবেন।

Call

মানবদেহে পানির ভূমিকা: বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন।  আমরা আমাদের জীবন পানি ছাড়া কল্পনা করতে পারি না। এ পৃথীবিতে পানি সকল প্রাণের উৎস। তাইতো বিজ্ঞানীরা নানান গ্রহে পানির অস্তিত্ব খুঁজে বেড়াচ্ছেন। মানবদেহে পানির গুরুত্ব অপরীশিম। বিজ্ঞান বলে, মানবদেহের প্রায় ৭০ শতাংশ পানি ।  সকালে সূর্যদয়ের পূর্বে খালিপেটে একগ্লাস পানিখেলে পেটের কৃমি নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের পাকস্হলিতে খাদ্য হজম হয়, কারণ সেখানে এসিড নিসৃত হয় । আমরা যখন খালিপেটে থাকি তখন এ এসিড পাকস্হলিতে পড়ে ক্ষত সৃস্টি করে  । তখন যদি আমরা পানি পান করি তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে । এছাড়াও পানি 'মানবদেহে তাপমাএা বজায় রাখে । খাবারের পর পানি খওয়া ঠিক না ।  কারণ তাহলে খাবারগুলু পানির উপরে ভেসে উঠে ।